পুজোর আর মাত্র হাতে গোনা কয়েক দিন বাকি। সারা রাজ্যজুড়ে এখন সাজ সাজ রব। আর এত আনন্দের মাঝে নতুন করে আবার বন্য পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে মালদহ জেলায়।
সূত্রের খবর, মালদহ জেলাতে পুজোর মুখে নতুন করে আবার বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে আবার নতুন করে জল বাড়ছে মালদহ জেলার প্রধান তিনটি নদী গঙ্গা,ফুলহর এবং মহানন্দায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাত থেকে ফের আবার গঙ্গার জল চরম বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে। ইতিমধ্যে মানিকচক ব্লকের রামনগর,শিবেনটোলা,পশ্চিম নারায়নপুর,জোতপাট্টা,গদাইচর সহ বিভিন্ন গ্রামে জল ঢুকতে আরম্ভ করেছে।নারায়নপুর চরে সবজি ক্ষেত পুরোপুরি গঙ্গার জলে ডুবে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুজোর মুখে লক্ষ লক্ষ টাকার সবজি জলের তলায় চলে যাওয়ায় চাষীদের মাথায় হাত। একে সবজির বাজার আগুন অন্যদিকে চাষের খেত জলে ডুবে যাওয়ায় কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এই সব অঞ্চলের গরীব চাষীরা। অপর দিকে ফুলহর নদীর জলের তোড়ে রতুয়া ১নং ব্লকের মহানন্দাটোলা এবং বিলাইমারিগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ জলবন্দী হয়ে পড়েছে। এখানেও প্রচুর ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চাষীরা। সবথেকে বেশী ক্ষতি হয়েছে মানিকচক ব্লকের নুরপুর নাজিরপুরে।
এখানে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে সবজি চাষ করেছিলেন চাষীরা। পুজোর মুখে একটু বেশী লাভের আশায় ফুলকপি,বাঁধাকপি,মূলা,পটল,এই সব চাষ করেছিলেন তারা। কিন্তু গঙ্গার শাখা নদী কালিন্দীর জলে প্রায় কোটি টাকার সবজি এখানে জলের তলায় চলে গিয়েছে। সূত্রের খবর বর্তমানে গ্রামের মানুষেরা বাকি প্রায় ৫০ বিঘা জমির সবজি বাঁচাতে নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে একটি ছোটো মাটির বাঁধ দিয়েছেন। কিন্তু গঙ্গার জল যে ভাবে বাড়ছে এই বাঁধ টিকবে কিনা তা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। অপর দিকে কালিয়াচকের ৩ নং ব্লকের শোভাপুর পারদেওনাপুরে গ্রামপঞ্চায়েতের নিচু এলাকাতে গঙ্গার জল ঢুকতে আরম্ভ করেছে। যার ফলে পুজোর মুখে আতঙ্কে দিন গুনছে মালদহ জেলার সাধারণ মানুষেরা।