চরম বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে ফুলার-গঙ্গা, বন্যায় ভাসছে উত্তর

লাগাতার বৃষ্টি। যার জেরে ক্রমশ জলস্তর বাড়ছে রাজ্যের বিভিন্ন নদীতে। যেমন লাগাতার বৃষ্টির ফলে জলস্তর বেড়ে গিয়েছে ফুল হারের। আর সেখানের জলের তোড়ে ভাঙল মালদহের রতুয়া দেবীপুরের বাঁধ। ফলে কার্যত বিচ্ছিন্ন দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েত।

জলবন্দি রতুয়া ১ ব্লকের সূর্যাপুর, দেবীপুর, কাহালা, লস্করপুর, বিলাই মারি, মহানন্দা টোলা, সরকার টোলা, বালুপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। জলবন্দি কয়েক হাজার মানুষ।

যদিও তারা কোনরকমে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে চলেছে। ফুলার ও গঙ্গা নদী দুটোই চরম বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে অসংরক্ষিত এলাকাগুলিতে। অন্যদিকে ত্রাণ সামগ্রী বিলি নিয়ে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। পর্যাপ্ত ত্রাণ এর অভাব রয়েছে বলে দাবি স্থানীয় মানুষদের। প্রবল সমস্যা দেখা গিয়েছে পশুখাদ্যের।

উদ্ধার কার্য ও ত্রাণ বিড়ি নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বানভাসি এলাকার মানুষেরা।

একই পরিস্থিতি মানিকচকের রামনগর এলাকার। গঙ্গা নদীর জলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের পার লালপুর, পারদেনাপুর, চালাক পাড়া, শিবপুর ঘাট সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন চলছে। জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। চলছে জোর কদমে উদ্ধারকার্য। এই সময় স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের কাজ ও বাধ নির্মাণের কাজ সম্ভব নয়। সেচ দফতর অস্থায়ী ভাবে কাজ করছে। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.