ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ফিরহাদ হাকিমকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আদিসপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত।
প্রথম যখন এই উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি হয় তখন ববি ছিলেন চেয়ারম্যান। একুশের বিধানসভার আগে পুরনো কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সেই থেকে অস্থায়ীভাবে ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন হুগলির জেলাশাসক।
সাগরদিঘির ভোটে তৃণমূলের হার সংখ্যালঘু গণভিত্তিতে ধস কিনা সেই চর্চা শুরু হয়েছে। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। সাগরদিঘির ভোটে দায়িত্বে ছিলেন ববি নিজে। তারপর ফুরফুরা কমিটিতে তাঁকে না রাখা স্বাভাবিকভাবেই চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
অতীতে ফুরফুরার সঙ্গে তৃণমূলের তরফে সমন্বয় রাখতেন মুকুল রায়। সেসব বহুদিন আগেই অতীত হয়ে গিয়েছে। ফুরফুরার পীরজাদাদের সমীকরণেও বদল এসেছে। আব্বাস সিদ্দিকির উঠে আসা, আইএসএফ তৈরি হওয়া, নওসাদ সিদ্দিকির বিধায়ক হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এবং সবটাই ববির নেতৃত্বে এই কমিটি থাকাকালীন। যা দেখে অনেকে বলেছিলেন, মুকুল রায়ের মতো হিমশীতল মস্তিষ্ক নিয়ে ববি সামাল দিতে পারেননি।