কমিশনের নির্দেশের পর কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা ফিরহাদ হাকিমের

পুর প্রশাসক পদে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের রাখা যাবে না। শনিবারই এই নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। আর তার পরই কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যদিও তাঁর দাবী, তিনি কমিশনের নির্দেশ জারির আগেই তাঁর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন।

২০২০ সালেই পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য পুরসভা নির্বাচন হয়নি। ফলে পুরসভাগুলিতে যাঁরা মেয়র বা চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তাঁদের উপরই ফের বর্তায় দায়িত্ব। কিন্তু ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই পদগুলি থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সরিয়ে সরকারি অফিসারদের নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এও বলা হয় সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে পুরপ্রশাসককে সরিয়ে পুরসভার দায়িত্ব দিতে হবে মুখ্যসচিবকে। সেই প্রসঙ্গে কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশিকা জারির পর পশ্চিমবঙ্গের ১১২টি পুরসভায় প্রশাসক বোর্ড ভেঙে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তার মধ্যে রয়েছে কলকাতা পুরসভাও।

নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটের প্রাক্কালে এই মুহূর্তে রাজ্যে আদর্শ আচরণবিধি চলছে। এই পরিস্থিতিতে পুরো প্রশাসক মণ্ডলীর একাধিক কর্তাব্যক্তি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। শুধু কলকাতা নয়, এমন চিত্র রাজ্যজুড়ে। কিন্তু আদর্শ আচরণবিধি চলার কারণে তাঁরা দৈনন্দিন কাজে অংশ নিতে পারবেন না। নির্দেশ কতটা জারি হচ্ছে তা দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিশনের নির্দেশ বলবৎ হয়েছে কিনা তা দেখবে এই কমিটি। নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে ২২ মার্চের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে ও এ নিয়ে কমিশনের কাছে রিপোর্ট করতে হবে। বিজেপি সহ বিরোধী দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল। তাদের অভিযোগ ছিল পুর কমিশনের একাধিক পদে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছে। কিন্তু এমনটা হওয়া উটিত নয়। এই পদে সরকারি অফিসারদের নিয়োগ করা উচিত। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই অভিযোগ জানায় নির্বাচন কমিশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.