প্রচারে বাংলাদেশের অভিনেতা। আর সেই ইস্যুতে ক্রমশ চাপে পড়তে চলেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ভারতের নির্বাচনে কীভাবে প্রচার করছেন বাংলাদেশের নাগরিক তথা অভিনেতা ফিরদৌস? আর তা নিয়ে রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্যের কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে এই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। সেখানে ব্যাখ্যায় কীভাবে ভারতের নির্বাচনে বিদেশি নাগরিককে কেন ব্যবহার করা হল, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবারের মধ্যেই এই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। ফলে এই ইস্যুতে শাসকদলের উপর চাপ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে শাসকদলের উপর চাপ বাড়াতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধী শিবির। বিষয়টি সামনে এনে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই আজ মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। পুরো বিষয়টি জয়প্রকাশ মজুমদার দাবি করেন, তৃণমূল দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। অন্য দেশ থেকে শিল্পী ভাড়া করে আনতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের হয়ে প্রচার করেছিলেন ফিরদৌস৷ এখানেই বিতর্ক দানা বাধে৷ এক বিদেশী কি করে এইরকম রাজনৈতি কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল৷ বিজেপি তীব্র প্রতিবাদ জানায়৷ এরপরেই ফিরদৌসের ভারতে থাকা নিয়ে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়৷ তিনি পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে আসতেই ভিনদেশিদের নিয়ে ভোটের প্রচারের অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ ফিরদৌস জানিয়েছিলেন, টলিউডের বন্ধুদের আমন্ত্রণেই তিনি এসেছেন৷
১৯৯৮ সালে ফিরদৌস খ্যাতিমান চিত্র পরিচালক বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত হঠাৎ বৃষ্টি ছবিতে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত করেছে৷ টলিউডের একাধিক শিল্পীর সঙ্গে ফিরদৌসের সম্পর্ক খুব ভালো৷ দুই বাংলাতেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে৷
গত লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ থেকে জয়ী হয়েছিলেন তখনকার বাম-কংগ্রেস জোটের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম৷ কংগ্রেসের ঘরোয়া কেন্দ্রে হিসেবে সুপরিচিত রায়গঞ্জে এবার হচ্ছে চতুর্মুখী লড়াই৷ এই কেন্দ্রে বামেদের প্রার্থী গতবারের সাংসদ মহম্মদ সেলিম৷ কংগ্রেস প্রার্থী করেছে প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির স্ত্রী দীপা দাসমুন্সিকে৷ তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন কানহাইয়ালাল আগরওয়াল এবং বিজেপির প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী৷