বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এসে সুর বেঁধে দিয়ে গিয়েছিলেন ঠিক একদিন আগেই। রবিবার সেই সুর চড়িয়ে বাংলার কৃষকদের পাশে পেতে কল্পতরু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন হলদিয়ার সভামঞ্চ থেকে মোদী জানালেন রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা দখল করলেই কৃষকদের উন্নতি সম্ভব। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বাংলার ৭০ লক্ষ কৃষকের সাথে বঞ্চনা করেছে। গত নয় বছর ধরে নিজেদের প্রাপ্য সম্মান পাননি বাংলার কৃষকরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে একহাত নিয়ে মোদী বলেন বিজেপি সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় এলে কৃষকদের অধিকার ফেরাবে। রাজ্যের তৃণমূল সরকার কেন্দ্রের কৃষক নিধি সম্মান বাংলায় আনতে দেয়নি। কেন্দ্রীয় একাধিক প্রকল্প রাজ্যে চালু হতে দেয়নি রাজ্যের শাসকদল বলে অভিযোগ মোদীর।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যর্থ বলে জানিয়ে মোদী বলেন বাংলায় এবার আসল পরিবর্তন প্রয়োজন। বিজেপি সরকার বাংলায় গরীবদের জন্য ৫লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবীমা চালু করা হবে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করা হবে। শুধু করোনা পরিস্থিতিই নয়, রাজ্য সরকার আমফানের সময় কেন্দ্রের দেওয়া সব টাকা নয়ছয় করেছে বলে দাবি করেছেন মোদী।
এদিন মোদী বলেন কেন্দ্রের দেওয়া কোনও টাকাই বাংলার মানুষ পান না। বাংলার জন্য বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা থাকলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার তা চালু করতে দেয়নি। তবে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসলে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরেই কিষাণ নিধি চালু করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এদিনের সভায় আমন্ত্রিত হলেও আসেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভামঞ্চে উঠেই মোদী বলেন আমার প্রিয় মা বোন ভাই বন্ধুরা, মেদিনীপুরের এই পবিত্র মাটিতে আসতে পেরে তিনি ধন্য, নিজেকে গর্বিত মনে করছেন।
এদিন তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে বাংলার মনীষীদের কথা। তিনি উল্লেখ করেন মেদিনীপুরের শহিদ মাতঙ্গিনী, বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর নাম। মোদী এদিন বলেন দেশকে গর্বিত করেছেন এই মেদিনীপুরের বীর সন্তানরা। তাঁদের রক্তে রক্তাক্ত এই মাটি পূণ্যভূমি। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার তৈরি হয়েছিল এই মেদিনীপুরের মাটিতে বনলে জানান মোদী।