রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশ্বাস দেন এমএসপি ছিল, আছে ও থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পর এবার সুর কিছুটা হলেও নরম করলেন কৃষক নেতারা। ফের কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় রাজি হয়েছেন তাঁরা বলে সূত্রের খবর। গত একমাস ধরে যে অচলাবস্থা চলছিল, তা কাটতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত দিনেই তাঁরা কথা বলতে রাজি বলে জানিয়েছেন কৃষক নেতারা।
উল্লেখ্য বিক্ষোভকারী কৃষক নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রের প্রায় ১১ দফা বৈঠক হয়েছে। ২০২০ সালে বাদল অধিবেশনে বিতর্কিত কৃষি বিল পাশ করে কেন্দ্র। সেই প্রেক্ষিতেই শুরু হয় রাজধানী দিল্লি জুড়ে বিক্ষোভ। তবে এবার নিজেদের উদ্যোগেই কেন্দ্রের সাথে কথা বলতে রাজি হয়েছে বিক্ষোভকারী কৃষকরা। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার সদস্য ও কৃষক নেতা শিবকুমার কাক্কা জানান, সরকারের সঙ্গে বৈঠকের দিন পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে সোমবার রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, এমএসপি ছিল, এমএসপি আছে ও এমএসপি থাকবে। কৃষকদের এই নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনও প্রয়োজন নেই। ভবিষত্যেও এমএসপি তুলে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্র সরকারের নেই বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। কৃষকদের আশঙ্কা এমএসপির অবলুপ্তি চাইছে কেন্দ্র সরকার। সেরকম হলে কোনও কৃষকই সঠিকমূল্য পাবেন না। তবে কেন্দ্রের দাবি এই বিল বাস্তবায়িত হলে সরকারি মান্ডি ও বাজারের পাশাপাশি, বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারবেন কৃষকরা। ফলে তাঁরা লাভবান হবেন।
করোনাকালেও এবার ফের ভারতের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এদিন বলেন, ‘‘দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদনে রেকর্ড। শুধু কৃষি আন্দোলন নিয়ে কথা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির ভাষণ আত্মনির্ভর ভারতের আশা জাগায়। রাষ্ট্রপতির ভাষণ বিরোধীরা বয়কট করেছে।’’ নয়া কৃষি আইন নিয়ে বিরোধীদের প্রবল প্রতিবাদ নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন মোদী । তিনি এদিন বলেন, ‘‘কৃষক আন্দোলন নিয়ে কথা বলছেন বিরোধীরা। কিন্তু কৃষিমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাব কেউ দিচ্ছেন না। দেশে ৩৩ শতাংশ কৃষকের ২ বিঘেরও কম জমি। ১৮ শতাংশ কৃষকের ২-৪ বিঘা জমি।