প্রাথমিক গণনায় এক্সিট পোল মিলিছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ও বিজেপির লড়াই স্পষ্ট। কেরলে সিপিআইএমের অগ্রগতি। পুদুচেরিতে হাড্ডাহাড্ডি, অসমেও জোর লড়াই বিজেপি ও কংগ্রেসের। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে বাম কংগ্রেস জোট এগিয়ে।
পোস্টাল ব্যালটের গণনার গতিপ্রকৃতি বলছে বাংলায় প্রবল ধাক্কার মুখে বামেরা। তবে সবই প্রাথমিক গণনা। তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে লড়াইয়ের অভিমূখ যে কোনও সময় ঘুরবে যে কোনও দিকে। সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে তেমন রায় আসছেনা গণনার শুরুতে।
পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি আসনের মধ্যে সবকটির গণনা চলছে। কড়া কোভিড বিধি মেনেই চলছে গণনা। রাজ্যে পরিবর্তন বা প্রত্যাবর্তনের দিকে দোদুল্যমান দুই শিবির টিএমসি ও বিজেপি।
ফলাফলের প্রাথমিক গতিতে আরও একটি বিষয় উঠে আসতে চলেছে সেটি হলো ঘোড়া কেনাবেচা। যদি লড়াইয়ের এমন গতি থাকে তাহলে সেটি অবস্যম্ভাবী। গত কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের পর দেদার বিধায়ক শিবির পাল্টেছেন। বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস জয়ী হলেও পরে সেখানে বিজেপি সরকার গড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তেমনই দৃশ্য দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মোদী মমতা দুই শিবিরের মধ্যে টানটান উত্তেজনা।
নির্বাচনের আগে যেভাবে তৃণমূলের ভাঙন ধরেছিল তার ধাক্কা সামলে তৃণমূল নেত্রী লড়াই করছেন। তিনি আগেই আশঙ্কা করেছেন বহু বিধায়ক জয়ের পরেও শিবির বদলাবে। ফলাফলের গতিতে সেই সম্ভাবনা তুলে ধরছে।
এদিকে সাড়া জাগানো প্রচার করলেও বাম কংগ্রেস আইএসএফের সংযুক্ত মোর্চা প্রাথমিক গণনায় তেমন আশানুরুপ কিছু দেখাতে পারেনি। বিশ্লেষকদের ধারণা, তাদের ভোট কাটার ফল পাচ্ছে বিজেপি ও টিএমসি।
পরিস্থিতি বলছে বাংলা দোদুল্যমান। জোড়াফুল নাকি পদ্মফুল কোনদিকে ঝুঁকবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পোস্টাল গণনায় একাধিক মন্ত্রীরা এগিয়ে। বিজেপির হেভিওয়েটরাও এগিয়ে রয়েছেন। হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর ঘিরে সবার চোখ। কারণ বাম জমানার এই দুই কেন্দ্রে শিল্পায়ন ঘিরে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদল হয়েছিল। তারপর গত দশ বছর টিএমসি জমানা। আবার পরীক্ষার মুখে পশ্চিমবঙ্গ।
বিজেপির উত্থান রাজ্যে সেই দলের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক। দলটি এমন সাফল্য প্রথম পায় গত লোকসভা ভোটে। তার ভিত্তিতে বিজেপি পরবর্তী ছক তৈরি করে। শুরু হয় দলভাঙানোর খেলা। সেই শুরু খেলা হবে রাজনীতির। আপাতত খেলে নিয়েছেন রাজ্যবাসী। তাঁদের রায় প্রকাশ হচ্ছে।