বুধবার রাঁচির জগন্নাথপুর মেলায় চারটি বাচ্চার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। ওই বাচ্চা গুলি কবে ও কিভাবে মারা গিয়েছে তা রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সের পোস্টমর্টেম রিপোর্টেও পাওয়া যায়নি। ওই রিপোর্টকে আরও নিখুঁত ভাবে পরীক্ষা করার জন্য মেডিকেল সায়েন্স একটি বোর্ড তৈরি করেছে। সোমবার ওই বোর্ডের এই সংক্রান্ত বিষয়ে আরও আলোচনা করা হবে।
জানা গিয়েছে, মেলার মধ্যে একটি প্রদর্শনী দেখানো হচ্ছিল। সেখানেই ওই বাচ্চা গুলোর মৃতদেহ রাখা হয়েছিল। বাচ্চা গুলিকে দেখে প্রথমে অনেকে নকল মনে করেছিল। পরে জানা যায় বাচ্চা গুলি আসল। মেলার মধ্যে এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মৃত বাচ্চা গুলিকে উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম করতে পাঠায়।
এই ঘটনায় কলকাতার তিন জনকে ওই মেলা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলেন বকিল মাইতি, পিন্টু মাইতি ও প্রভাত সিংহ। তাঁরা ওই মেলাতে ১০ টাকা ফি এর একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল। সেখানেই কেমিক্যালের পাত্রে ওই বাচ্চা গুলোর মৃতদেহ ও একটি পশুর মৃতদেহ রাখা হয়েছিল। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে, ওই বাচ্চা গুলি তাঁরা কলকাতার গরিব পরিবার থেকে কিনে নিয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে এরকমই একটি প্রদর্শনীতে ৯ মাসের কমবয়সী ১২ টি বাচ্চার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। গত বছর সেপ্টেম্বরে কলকাতার একটি এলাকা থেকে প্যাকেটে মোড়া অবস্থায় বাচ্চার ভ্রূণ পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশ সেটাকে আবর্জনা বলে তদন্ত বন্ধ করে দেয়।