শনিবাসরীয় বিকেলে তাঁরা কলকাতা বিমানবন্দরে বলে গিয়েছেন—দিল্লিতে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা হবে। বাংলাকে ‘সোনার বাংলা’ হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই উত্তরের উদ্দেশে তাঁদের এই যাত্রা। সন্ধ্যায় ৬এ কৃষ্ণমেনন মার্গে সেটাই হল।
এবং সেই ফটো ফ্রেম দেখেই ধরে নিতে পারেন, ১৬ মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, প্রবীর ঘোষাল এবং রথীন চক্রবর্তী।
এ ঘটনায় আর কোনও রহস্য নেই। বরং নতুন খবর রয়েছে একটা। তা হল, বিজেপি শীর্ষ সূত্রে বলা হচ্ছে, একুশের ভোটে এঁরা সবাই পদ্মফুল প্রতীকে প্রার্থী হবেন।
এই পাঁচ জন শনিবার রাতেই কলকাতায় ফিরে আসার কথা। কারণ কাল ডুমুরজলায় জনসভা করে জনসমক্ষে তাঁদের যোগদান কর্মসূচি হবে। সেই সভায় রাজ্য নেতারা তো থাকবেনই, সেই সঙ্গে দিল্লির প্রতিনিধি হিসাবে থাকবেন বস্ত্র মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তা ছাড়া দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তৃতা দেবেন অমিত শাহ।
রবিবার ডুমুরজলার অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থাকার কথা ছিল অমিত শাহর। তা নিয়ে গত প্রায় এক মাস ধরে উত্তেজনা ও উৎকন্ঠার পারা চড়ছিল। তিনি আসতে না পারায় অনুষ্ঠানের ঔজ্জ্বল্য কিছুটা ম্নান হবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, একুশের ভোটের আগে রবিবারের জনসভা মাইলফলক। শাসক দল বাহ্যত বড় ধাক্কা খাচ্ছে বলেই তাঁদের মত। শেষ পর্যন্ত ভোটে কী পরিণাম হবে সেটা ভিন্ন বিষয়।
কালকের সভায় হাওড়ার স্থানীয় আরও কিছু নেতা ও কর্মী বিজেপিতে সামিল হতে পারেন বলেই বিজেপি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে।