দ্য ওয়াল ব্যুরো: আজ কলকাতায় তিনটি মিছিল। একটি জনসভা। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে তিনটি মিছিল অনেক আগেই ডাকা ছিল। তার সঙ্গে ধর্মতলায় মুখ্যমন্ত্রীর সমাবেশ। ফলে, দুপুর গড়ানোর আগেই মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় যান চলাচলে প্রভাব পড়তে পারে।
বুধবার হাওড়া থেকে কলকাতায় ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে ব্যপক যানজট তৈরি হয় দুপুরের পর থেকে। সেই মিছিলের পরে ধর্মতলায় সংক্ষিপ্ত সভাও করেন তিনি। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে ছাত্র ও যুব শাখার যে সমাবেশ হবে, তাতে বিকেল চারটের সময় তিনি যোগ দেবেন। দুপুর একটা থেকে তৃণমূলের ওই সভা শুরু হওয়ার কথা।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) মানব না স্লোগান তুলে গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের শাসকদল ছাড়াও কিছু বিরোধী দল ও নানা সামাজিক সংগঠন প্রচারে নেমেছে। পরপর তিনদিন শহরে পদযাত্রা করলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এর পরে আজ ধর্মতলায় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে ও আগামীকাল পার্ক সার্কাস ময়দানে সমাবেশ করবেন মমতা। এছাড়াও একাধিক সংগঠন পতাকা ছাড়া মিছিলের ডাক দিয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে তৈতির হয়েছে যুক্তমঞ্চ। সেই মিছিল দুপুর বারোটায় মৌলালি রামলীলা ময়দান থেকে শুরু হওয়ার কথা। শেষ হবে নিউ মার্কেটের সামনে।
এর পাশাপাশি মৌলালির রামলীলা ময়দানেই বিকেল চারটের সময় ১৭টি বাম দল জমায়েত করবে। তারা মিছিল করে পার্ক সার্কাস ময়দানে লেডি ব্রাবোর্ন কলেজের সামনে পর্যন্ত যাবে। এই দুটি কর্মসূচির সঙ্গে আছে কংগ্রেসের মিছিল।
বেলা তিনটের সময় প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব ধর্মতলায় টিপু সুলতান মসজিদের সামনে জমায়েতর ডাক দিয়েছে। সেখান থেকে তারা মিছিল করে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ধরে উত্তরে রাম মন্দির পর্যন্ত যাবে।
সব মিলিয়ে আজ মধ্য কলকাতায় দুপুরের আগে থেকেই ব্যাপক যানজট হতে পারে।