ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করেছিলেন। তার ফলস্বরূপ বাড়ির সামনে এক গৃহবধূকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করল একদল স্থানীয় দুষ্কৃতী ও তার দলবল। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ওই প্রতিবাদী গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচক থানার সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রহ্মোত্তর গ্রামে। এই ঘটনায় হামলাকারী আবু বক্কার ও তার দলবলের বিরুদ্ধে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূ। আরও অভিযোগ, ঘটনার পর থেকেই লাগাতার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের হুমকিতে রীতিমতো ঘরছাড়া হয়ে পড়েছেন ওই গৃহবধূ ও তাঁর পুরো পরিবার।
ব্রহ্মোত্তর গ্রামের বাসিন্দা ওই গৃহবধূর অভিযোগ, তাঁর প্রতিবেশী যুবক আবু বক্কার দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করছিল। ফোনে কুপ্রস্তাব দেওয়া, অশ্লীল মেসেজ পাঠানো ছাড়াও, রাস্তাঘাটে বিভিন্নভাবে জ্বালাতন করছিল তাঁকে। তিনি প্রতিবাদ করলে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি তাঁর স্বামী ও একমাত্র ছেলেকেও প্রাণে মেরে ফেলার লাগাতার হুমকি দিত ওই যুবক ও তার দলবল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদে গত চার মাস আগে ১৫ মে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করলে, অভিযুক্ত আবু বক্কর মামলা তোলার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে। তারপর থেকে প্রায় প্রতিনিয়তই রাস্তাঘাটে ওই গৃহবধূকে উত্ত্যক্ত করছিল সে। অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার ওই গৃহবধূ ফের দুষ্কৃতীদের ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করলে, তাঁর উপর চড়াও হয় আবু বক্কর।
গায়ে গুলি না লাগলেও ওই গৃহবধূকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে, তাঁদের চিৎকার, চেঁচামেচিতে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় হামলাকারী দুষ্কৃতী ও তার দলবল।
আক্রান্ত গৃহবধূর কথায়, “বৃহস্পতিবার গ্রামের কিছু মানুষের কথামতো আমার বাড়ির সামনে অভিযুক্তদের নিয়ে পুরো ঘটনার ব্যাপারে সালিশি সভা করা হয় । সেখানেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণস্বরূপ মোবাইলের কথোপকথন ও অশ্লীল মেসেজ আমি দেখাই। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে অভিযুক্তরা। এরপর আমাকে মারধর করা হয়। তারপর বাড়ি যাওয়ার মুহূর্তে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।” দুষ্কৃতীদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।