গত ১০ বছরে টেট থেকে শুরু করে ডাক্তার নার্স নিয়োগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ দুর্নীতি হয়েছে। পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকারা রাস্তায় অনশন করে প্রাণ দিয়েছেন। স্কুল -কলেজে কোথাও নিয়োগ যথাযথভাবে হয়নি। হাজার হাজার পদ শূন্য। আপনার পশ্চিমবঙ্গের এই অবস্থা কি আপনি চান? সিঙ্গুর থেকে টাটাকে ছাড়িয়ে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। গত ১০ বছরে সিঙ্গুরে চাষও হয়নি আর শিল্পও আসেনি। বিগত বছরগুলিতে রাজ্যে একটিও শিল্প আসেনি, কোনো বিনিয়োগ হয়নি। বেকারদের ভোলাতে কেবল ক্লাবে টাকা দেওয়া হয়েছে আর রাজনীতির তোলাবাজের দল তৈরি হয়েছে। আপনার সন্তান সৎভাবে উপার্জন করুক, নাকি পার্টির তোলাবাজি করুক- আপনি কি চান?
রাজ্যের শিক্ষার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ, প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র হাহাকার। এই জমানায় কেবল শিমুলিয়ার মতন মাদ্রাসা রমরমা হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় অশ্লীল অসভ্যতা হয়েছে। বিপন্ন শিক্ষা, অনিশ্চিত আপনার সন্তানের ভবিষ্যত। একটু ভাবুন…!
আত্মনির্ভর ভারত
বিগত কয়েক বছরে ভারত সম্পর্কে বিশ্ববাসীর মানসিকতার এক সদর্থক পরিবর্তন এসেছে। গত এক বছরে করোনার সময়ে লকডাউন চলাকালীন দেশের সকল নাগরিকের খাদ্য সুরক্ষা, করোনা অতিমারীর মোকাবিলা, এবং করোনা ভ্যাকসিন নির্মাণ, টীকাকরন ও বিশ্বব্যাপী সরবরাহতে ভারতের সাফল্য বিশ্ব দরবারে আত্মনির্ভর ভারতের মর্যাদা অনেকাংশেই বৃদ্ধি করেছেন। এখনও অবধি দেশে এক কোটিরও বেশি নাগরিকের টীকাকরনের পাশাপাশি বিশ্বের ২৫টিরও বেশি দেশে ভারত এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে।
গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, আসাম, উত্তরাখন্ডসহ বিভিন্ন রাজ্য আত্মনির্ভরতার পথে অনেকখানি এগিয়ে যেতে পারলেও, পশ্চিমবঙ্গ কবে আত্মনির্ভর হবে?
একটি বিনম্র নিবেদন
১০০% ভোটদান: এবার আমরা সবাই ভোট দেব। আমাদের সম্মিলিত শক্তির সামনে ভোট লুটেরারা দাঁড়াতে পারবে না। একবার রুখে দাঁড়িয়ে দেখুন, নিজে দায়িত্ব নিন যে আমার গ্রাম একশ শতাংশ ভোটদাতা গ্রাম হবে- সংকল্প নিন, একত্রিত হোন।
এবার যারা নতুন ভোটার হলেন: এবার যারা নতুন ভোটার তাদের হাতেই আছে রাজ্যের ভবিষ্যত। নতুন ভোটারের মতদানে ঠিক হবে আগামীদিনে পশ্চিবঙ্গের পরিবেশ কেমন হবে। আমার আপনার ঘরের মা- বোনেদের অত্যাচারের ভয় পেতে হবে না। শিক্ষকের দাবি নিয়ে বলতে গিয়ে ছাত্রদের গুলি খেয়ে প্রাণ হারাতে হবে না। লেখাপড়া শিখে শিক্ষক হতে চেয়ে প্রশাসনের গাফিলতির জন্য শিক্ষকদের রাস্তায় অনশনে বসতে হবে না।
সকাল সকাল ভোট দিন, নিজের ভোট নিজে দিন: নির্বাচনের দিন কোথাও বেড়াতে বা পিকনিকে না গিয়ে ভোটদান করা পবিত্র দায়িত্ব। আর পবিত্র কাজ একেবারে সকাল সকাল করতে হয়।
NOTA য় ভোটদান থেকে বিরত থাকুন: নোটায় ভোটদানের পরিবর্তে সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থীকে ভোট দিন।
একটি ভোট- মাওবাদের উপর আঘাত
অনুপ্রবেশের উপর আঘাত
সন্ত্রাসবাদের উপর আঘাত
স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের উপর আঘাত
পরিবারতন্ত্রের উপর আঘাত
দুর্নীতির উপর আঘাত
তোষনের উপর আঘাত
আপনার আজকের সিদ্ধান্ত কয়েক প্রজন্মের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে।
[সচেতন নাগরিক মঞ্চের পক্ষে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সংযোজক শ্রী রবীন্দ্রনাথ মাল কর্তৃক প্রকাশিত ও মা কালী অফসেট কর্তৃক মুদ্রিত।]