পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটে আধা সামরিক বাহিনীর মোতায়েনের বিষয়টি দেখভাল করার জন্য বিএসএফের প্রাক্তন ডিজি কে কে শর্মাকে বিশেষ কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশনার। বাংলার পাশাপাশি তিনি ঝাড়খণ্ডে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টিও দেখবেন।
কেন এই পদক্ষেপ করল নির্বাচন সদন, সে ব্যাপারে অবশ্য কমিশন সরকারি ভাবে আর ব্যাখ্যা দেয়নি। তবে কমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোটে বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা সম্পর্কে কমিশনের কর্তারা ভালরকম অবহিত। তা ছাড়া রাজ্য পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে বার বার বিরোধীরা কমিশনের কাছে প্রশ্ন তুলেছে। সেই কারণেই বিশেষ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হল।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার দিনই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানিয়েছিলেন, এ বারের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে তাঁরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই যে সব রাজ্যে বেশি সংখ্যায় স্পর্শকাতর বুথ থাকবে বা হিংসার আশঙ্কা থাকবে সেখানে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হতে পারে। তবে সে দিন কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে একবারও পশ্চিমবঙ্গের নাম মুখে আনেননি। শুধু বলেন, যে রাজ্যে যেমন পরিস্থিতি উদ্ভূত হবে, সে রাজ্যে সে রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দরকার হলে বাইরের রাজ্য থেকে যথাযথ সংখ্যায় সিনিয়র আমলা ও পুলিশ কর্তাদের এনে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হবে।
কমিশনের এ দিনের নির্দেশেই পরিষ্কার যে বাংলায় বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে তারা। তবে কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এখানেই শেষ নয়। বরং শুরু। বিশেষ কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষকের অধীনে জেলাস্তরে বা লোকসভা কেন্দ্রওয়াড়ি পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে পারে কমিশন। তা ছাড়া সামগ্রিক ভাবে কোনও জেলার ভোটে নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করা হতে পারে। কারণ, কমিশনের লক্ষ্য ভোটের দিন যাতে বিনা বাধায় মানুষ বুথ পর্যন্ত যেতে পারেন তা সুনিশ্চিত করা। ভোটের সময় যাতে কোনও হিংসার ঘটনা না ঘটে তা দেখা। যাতে নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ হয়।