ফেসবুক থেকে টুইটার হ্যান্ডল, সর্বত্র লেখা এআইটিসি। যার পুরো কথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বাংলার শাসকদলের জাতীয় দলের মর্যাদা থাকবে তো? এই প্রশ্নই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে তৃণমূলের অন্দরে। সূত্রের খবর, তৃণমূলকে নোটিস পাঠাতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে বলা হবে, কেন জাতীয় দলের তকমা থাকবে, তার কারণ জানান। তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছে সিপিআই এবং শরদ পাওয়ারের দল এনসিপি। তাদেরও নোটিস দিতে পারে নির্বাচন সদন।
জাতীয় দল হওয়ার নিয়ম কী কী?
নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী তিনটি শর্তের মধ্যে একটি শর্ত পূরণ করতে হবে। এক, তিনটি রাজ্য থেকে লোকসভার মোট আসনের দু’শতাংশ আসন অর্থাৎ ১১টি আসনে জিততে হবে। দুই, চারটি রাজ্যে ৬ শতাংশ ভোট পেতে হবে। এবং তিন, দেশের যে কোনও চারটি রাজ্যে রাজ্য-দলের মর্যাদা থাকতে হবে।
প্রথম শর্ত অনুযায়ী, দরকার ১১টি আসন। তৃণমূলের রয়েছে ২২টি আসন। কিন্তু তা শুধু বাংলায়। চারটি রাজ্যেও তাদের ৬ শতাংশ ভোট নেই। এ বারের ভোটে ত্রিপুরা, আন্দামান, অসম, ঝাড়খণ্ড, মণিপুরে প্রার্থী দিলেও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গিয়েছে জোড়াফুলের। ফলে সেই শর্ত পূরণ হচ্ছে না। চারটি রাজ্যে ৬ শতাংশ ভোট নেই। নেই চার রাজ্যের রাজ্য পার্টি হওয়ার তকমাও। ফলে জাতীয় দলের মর্যাদা থাকা নিয়ে ঘোর সংশয় তৈরি হয়েছে।
যদিও জাতীয় দলের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হবে কি না, সেটা অনেকটা নির্বাচন কমিশনের উপর নির্ভর করে। ১৪-র ভোটে সিপিএম, সিপিআই এবং মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টিকে নোটিস দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু তার বেশি আর এগোয়নি।
এ বার যেমন সিপিএম আসন কম পেলেও চার রাজ্যের ভোট শতাংশে জাতীয় দলের মর্যাদার শর্ত পূরণ করেছে। বাংলা, ত্রিপুরা, কেরল এই তিন রাজ্যে ৬ শতাংশ বা তার ভোট পাওয়ার পাশাপাশি তামিলনাড়ুতে দুটি আসন জিতেছে। ফলে চারটি রাজ্যে রাজ্য পার্টির হওয়ার শর্ত পূরণ করেছে সীতারাম ইয়েচুরির দল। কিন্তু সংকটে ডি রাজাদের সিপিআই। তামিলনাড়ু বাদ দিয়ে কোনও রাজ্যেই আসন নেই। ভোট শতাংশও তথৈবচ। এখন দেখার কী ভূমিকা নেয় কমিশন।