নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের ছবি ভয়ঙ্কর। প্রায় ৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তেমনটাই সাফ জানিয়েছে ভারতীয় রেল।
রেলওয়ের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার যাদব সোমবার জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় ট্রেনের কামড়া পোড়ানো, সিগন্যাল ট্র্যাক উপড়ে ফেলার ফলে রেলওয়ের অন্তত ৮০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চল ৭০ কোটি ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল ১০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেও আভাস দিয়েছেন বিনোদ কুমার।
তিনি আরও বলেন, রেলওয়ে পুলিশ দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছে। চিহ্নিত করা হলে ক্ষতিপূরণ আদায় শুরু হবে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনবিরোধী বিক্ষোভের সময় ডিসেম্বরের শুরুতে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ স্টেশনে পাঁচটি খালি ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হয় । হাওড়া জেলাতেও একটি স্টেশনে আগুন লাগিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।
এর আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ক্ষতিপূরণ আদায়ের ঘোষণা করেছিলেন। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের জন্য জেলার ২৮ জনকে চিহ্নিত করেছিল যোগীর উত্তর প্রদেশ জেলা প্রশাসন। নোটিস দিয়ে ওই ২৮ জনের কাছ থেকে ১৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছিল যোগীর সরকার।
এরপর চাপের মুখে ভাঙচুরের জন্য ক্ষতিপূরণ দিয়েছে মুসলিমরা। উত্তর প্রদেশ সরকারের হাতে বুলন্দ শহরের মুসলিম সম্প্রদায় ৬ লাখ ২৭ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেছে বলেই জানা গিয়েছে।
মালদার একাধিক স্টেশনে চলেছিল ভাঙচুর। উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলের অধীন অসমের কিছু ট্রেন এবং স্টেশনে চলেছিল তান্ডব। এবিষয়ে দুদিন আগেই রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, রেলের সম্পত্তি হানির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।
এদিকে রেলের তরফে সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা গেলে, তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় রেলওয়ে আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের হবে। যে মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বাধিক ৭ বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে।