রাজ্যে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে কর্মরত পার্শ্বশিক্ষকদের একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন চলছে৷ সল্টলেক বিকাশ ভবনের কাছে ফের অবস্থানে বিক্ষোভে বসেছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা৷ ১৯ দিন ধরে চলছে আন্দোলন৷ তাই পার্শ্বশিক্ষকদের এবার শোকজ করার সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা দফতর৷
আগেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, স্কুলে অনুপস্থিত থেকে আন্দোলন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ এবার তাই ওই পার্শ্বশিক্ষকদের শাস্তি পথে এগোচ্ছে শিক্ষা দফতর৷ স্কুলে তাদের অনুপস্থিতির জন্য ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে৷ তাই ওই অনুপস্থিত পার্শ্বশিক্ষকদের শোকজ করার সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা দফতর।
পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তা শুভাঞ্জন দাস৷ তিনি গত ২৯ তারিখ সব জেলার ডিআই -দের সার্কুলার পাঠিয়েছেন৷ তাতে বলা হয়েছে, গত ১১-২২ নভেম্বর পর্যন্ত যে সব পার্শ্বশিক্ষক আগাম না জানিয়ে বা বিনা অনুমতিতে স্কুলে অনুপস্থিত রয়েছেন, তাঁদের শোকজ করতে হবে৷ শুধু তাই নয়, শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে, সেই সব পার্শ্বশিক্ষকদের তালিকা তাঁদের তালিকা বিকাশ ভবনে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷
এদিকে, সরকারি হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও পিছু হটতে রাজি নন আন্দোলনকারী পার্শ্বশিক্ষকরা৷ সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের কাছে ১১ নভেম্বর থেকে আন্দোলনে বসেছেন পার্শ্বশিক্ষকরা৷ শিক্ষা দফতরের ওই সিদ্ধান্তে তারা পাল্টা হুমকি দিয়েছেন৷ এই নিয়ে প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হবেন৷
পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ জানান, আমরা কলকাতা হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে এখানে অবস্থানে বসেছি। রাজ্য ও জেলা সমগ্র প্রকল্প আধিকারিকদের অগ্রিম জানিয়েই স্কুল বয়কটের ডাক দিয়েছি৷ তা সত্ত্বেও সরকার চক্রান্ত করে আন্দোলন ভেস্তে দিতে চাইছে। এতে আমাদের আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে৷