কলকাতা: দুর্গাপুজোর গাইডলাইন প্রকাশ করল রাজ্য সরকার। আজ সোমবার এই গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। গাইড লাইনে জানানো হয়েছে যে, দর্শনার্থীদের মাস্ক বাধ্যতামূলক।
একই সঙ্গে গাইড লাইনে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক পুজো কমিটিকে ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার। এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখতে মোতায়েন করা হবে পুলিশ এবং ভলেন্টিয়ার। খোলা মেলা প্যান্ডেলে পুজো করতে হবে। প্রবেশ ও বের হওয়ার গেট আলাদা থাকবে।
প্যান্ডেলের কাছে কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না। এছাড়া পুজোর উদ্বোধনে ও বিজর্সনে কম সংখ্যক লোক রাখতে হবে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে করোনার জেরে এবারে হবে না পুজো কার্নিভাল।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেই দুর্গাপুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি জানান, দুর্গাপুজো আয়োজক কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার৷ এছাড়া ছাড় দেওয়া হয়েছে দমকল ফি ও টেস্ক৷
এছাড়া পুজো কমিটিগুলি থেকে এবার কোনও দমকল ফি নেওয়া হবে না৷ দিতে হবে না টেস্ক৷ ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন বা সিইএসসি এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ (ডব্লিউএসইবি) এর ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা৷
যে সব পুজো কমিটিগুলি ১০ বছর ধরে পুজো করে আসছে অথচ এখনও সরকারি অনুমতি পায়নি, তাদের অনুমতি দেওয়া যায় কিনা,সে বিষয়টি প্রশাসনকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আগামী ২ অক্টোবর থেকে অনলাইনে আবেদন করা যাবে৷
জানা গিয়েছে,রাজ্যে ২৮ হাজার অনুমোদিত পুজো কমিটি রয়েছে৷ কলকাতায় রয়েছে ৩ হাজার৷ পুলিশকে নজরে রাখতে হবে৷ একই দিনে সব ঠাকুর যাতে বিসর্জন না হয়৷ তাছাড়া ঘাটে ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকতে হবে৷ পাশাপাশি স্যানিটাইজ রাখতে হবে৷ এবছর তৃতীয়া থেকে একাদশী পর্যন্ত ঠাকুর দেখা যাবে৷
কিছুদিন আগেই দুর্গাপুজোর মণ্ডপগুলি খোলামেলা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একইসঙ্গে মণ্ডপে একসঙ্গে অনেক দর্শক যাতে ঢুকে না পড়েন, সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে বলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।