মাসদেড়েকও বাকি নেই দুর্গাপুজোর। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জমায়েত রুখে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। পুজো উদ্যোক্তাদের একাংশের দাবি, এখনও নবান্ন থেকে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। তবে সূত্রের খবর, করোনা সংক্রান্ত বিধি নির্ধারণের জন্য গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে।
দুর্গাপুজোর জন্য ইতিমধ্যে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। একে অপরকে টক্কর দেওয়ার কোনও কসুর ছাড়া হচ্ছে না। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও নির্দেশিকা প্রদান করা হয়নি। অথচ রাজ্যে যে করোনার সংক্রমণ একেবারে কমে গিয়েছে, তা মোটেও নয়। গত তিনদিন রাজ্যে ৬০০-এর ঘরেই ছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার শঙ্কা আছে। সেই পরিস্থিতিতে পুজোর সময় ভিড় নিয়ন্ত্রণের উপর বাড়তি জোর দিতে হবে। সেই কাজটা করা না গেলে পুজোর পর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেড়ে যাবে। ইতিমধ্যে সে বিষয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্রও। গত মাসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি যে প্রতিটি উৎসবের মরশুমের পর সংক্রমণ বেড়ে যায়। আগামী সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেই সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক উৎসব পালিত হবে। করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সুরক্ষাবিধি মেনে উৎসব পালন করতে হবে।’ তিনি জানিয়েছেন, ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। টিকা নেওযার পরও মাস্ক পরতে হবে।
সূত্রের খবর, গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি বোর্ডের বৈঠকে ইতিমধ্যে দুর্গাপুজোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দুর্গাপুজোর সময় কী কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি বোর্ডের সদস্যরা। গত বছর কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তাও বিবেচনা করা হচ্ছে।