এবার থেকে কি ট্রেনে উঠতে গেলে যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে? বেশ কয়েকদিন ধরেই এই প্রশ্ন ঘোরা ফেরা করছে। তবে জল্পনার অবসান ঘটাল ভারতীয় রেল। এক বিবৃতি প্রকাশ করে তারা জানিয়ে দিল ঠিক কি করতে হবে ট্রেনের যাত্রীদের।
সম্প্রতি রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীত শর্মা জানিয়ে দিয়েছেন ট্রেনে উঠতে গেলে কোনও যাত্রীরই করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট প্রয়োজন নেই। চেয়ারম্যানকে উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। তবে ট্রেনে চড়তে গেলে মেনে চলতে হবে যাবতীয় করোনা বিধি। যেমন ফেস মাস্কের ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি।
এদিকে, কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না করোনাকে। নাইট কার্ফু, আংশিক লকডাউন, যাবতীয় জল্পনা-আলোচনা সবকিছু পার করে প্রতিদিন সামনে আসছে দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণ। সোমবারের রিপোর্ট বলছে রবিবারে দেশজুড়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯১২ জন, যা কিনা বলা যেতে পারে প্রায় ১ লক্ষ ৬৯ হাজার। শেষ ২৪ ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯০৪ জনের! আক্রান্ত যেখানে প্রায় ১ লক্ষ ৬৯ হাজার সেখানে এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭৫ হাজারের সামান্য বেশি সংখ্যক মানুষ। ফলে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
দিন কয়েক আগেই জানানো হয়, প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে চলেছে। যে স্টেশনগুলিতে প্ল্যাটফর্ম টিকিট পাওয়া যাবে না, সেগুলি হল মহারাষ্ট্রের লোকমান্য তিলক টার্মিনাস, কল্যাণ, দাদর, থানে, পানভেল ও ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস।
সেন্ট্রাল রেলওয়ের সিপিআরও সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানান প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু স্টেশনে। শুক্রবার থেকেই এই স্টেশনগুলিতে প্ল্যাটফর্ম টিকিট পাওয়া যাবে না। স্টেশনে অতিরিক্ত ভিড় এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি।
সব রাজ্যের মধ্যে মারাত্মক পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। এখানকার পরিস্থিতি অন্য সব রাজ্যকে ছাপিয়ে গিয়েছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় মহারাষ্ট্রে করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩৪৯ জনের। মুম্বই, নাগপুর, পুণে সহ সব বড় শহরেই পরিস্থিতি প্রায় একই রকম হয়ে উঠেছে। সংক্রমণ রোধে সপ্তাহান্তে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। যেখানে শনি ও রবিবার রাজ্যজুড়ে লকডাউনের পাশাপাশি নাইট কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে উদ্ধব ঠাকরের সরকার। কিন্তু তাতে কতটা কাজ হবে তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে।