করোনার ভ্যাক্সিন বণ্টন নিয়ে এবার রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। রাজ্যে বিনা পয়সায় ভ্যাক্সিন দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকেই কটাক্ষ করেছেন বাবুল। তাঁর কথায়, ‘‘বিনা পয়সায় ভ্যাক্সিন দেওয়ার মতো বাজে কথা বলবেন না। কেন্দ্রীয় সরকারই তো আপনাকে বিনা পয়সায় ভ্যাক্সিন দিচ্ছে।’’
সোমবারই সব রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকেই আপাতত তিন কোটি ভ্যাক্সিনের ডোজ বিনামূল্য়ে রাজ্যগুলিকে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। করোনাযোদ্ধাদেরই এখন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হবে। তালিকায় সবার আগে চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ও বিভিন্ন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। তিন কোটি করোনাযোদ্ধাকে বিনামূল্যে কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাক্সিন দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে বিনামূল্যে করোনার ভ্যাক্সিন দেওয়ার ঘোষমা করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ঘোষমাকে বিঁধে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুলল সুপ্রিয় সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং করেছেন৷ অবশ্যই, সমস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদের গ্রাউন্ড ইনোকুলেশন করতে হবে। কেন্দ্রই তো এখন বিনামূল্যে ভ্যাক্সিন সরবরাহ করছে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করছি, আপনি নতুন করে বিনামূল্যে ভ্যাক্সিন দেওয়ার মতো বাজে কথা বলবেন না।’’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই কলকাতায় পৌঁছেছে করোনার ভ্যাক্সিন কোভিশিল্ড। গতকাল থেকেই কলকাতা ও জেলাগুলিতে ভ্যাক্সিন বণ্টন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতভর দফায়-দফায় জেলাগুলিতে ভ্যাক্সিন বণ্টন করা হয়। গতকাল পুমের সেরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড এসে পৌঁছেছে বাংলায়।
জানা গিয়েছে, ১০ লক্ষ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন এসেছে রাজ্যে৷ এর মধ্যে বাংলার জন্য ৭ লক্ষ ডোজ ভ্যাক্সিন৷ ৩ লক্ষ ডোজ পাঠানো হয়েছে পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে৷ মঙ্গলবার রাত থেকেই কলকাতা থেকে জেলায় জেলায় পাঠানো শুরু হয় ভ্যাক্সিন৷ কলাকাতার জন্য়ই সবচেয়ে বেশি ভ্যাক্সিন বরাদ্দ হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কলকাতার জন্য রাখা হয়েছে ভ্যাক্সিনের ৯৩ হাজার ৫০০টি ডোজ। কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৪৭ হাজার ৫০০ করোনার ভ্যাক্সিনের ডোজ পাঠানো হয়েছে। একইভাবে মুর্শিদাবাদ জেলায় ৩৭ হাজার ৫০০ করোনার ভ্যাক্সিনের ডোজ পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে এই ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে৷