লক্ষ্য জয়ের ব্যবধান বাড়ানো, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে প্রচারে ডাকছেন বিরোধী প্রার্থীরাও!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এই মুহূর্তে প্রশ্নাতীতভাবে ভারতীয় রাজনীতির সবচেয়ে বড় ‘স্টেটসম্যান’। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোদি প্রচারে নেমে পড়লে যে কোনও নির্বাচনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। হারা বাজি জেতার ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে তাঁর থেকে বড় বাজি আর কেউ হতে পারে না। এ হেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রধানমন্ত্রীকে নাকি প্রচারে ডাকছেন তাঁর বিরোধী শিবিরের নেতারা। তাঁদের দাবি, মোদি প্রচারে বেরোলে নাকি তাঁর দলেরই ভোট কমবে, আর বিরোধীদের জয়ের ব্যবধান বাড়বে।

এই অবিশ্বাস্য কীর্তিগুলি করেছেন তামিলনাড়ুর প্রধান বিরোধীদল ডিএমকের (DMK) একাধিক প্রার্থী। তাঁদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদি এআইএডিএমকের হয়ে প্রচারে আসেন, তাহলে এআইএডিএমকের ভোট আরও কমবে এবং ডিএমকে প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান আরও বাড়বে। তামিলনাড়ুতে বিজেপির (BJP) জনপ্রিয়তা এতটাই কম যে মোদি-শাহরা প্রচারে এলে তাঁদের জোটসঙ্গীদের ভোট আরও কমে যাবে। এই ধরনের টুইট প্রথমে করেন ডিএমকে প্রার্থী অনিতা রাধাকৃষ্ণণ। তিনি লেখেন,”প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, আমি ডিএমকের প্রার্থী। দয়া করে আমার কেন্দ্রে এসে প্রচার করুন। এতে আমার জয়ের ব্যবধান বাড়বে।” এরপর আরও বেশ কয়েকজন প্রার্থী একই ধরনের টুইট করেন।

[আরও পড়ুন: তিন তালাক রদের পর আরেক আইনি লড়াইয়ে বেনজির জয়, খোরপোশ আদায় বিবাহবিচ্ছিন্নার]
প্রধানমন্ত্রীকে ‘ট্রোল’ করার এই ধরন নিয়ে তামিল রাজনীতিতে এখন রীতিমতো চর্চা চলছে। ডিএমকে বলছে, রাজনীতি মানেই গুরুগম্ভীর তাত্তিক জ্ঞান, কিংবা কুটকচালি নয়। রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে আক্রমণের মধ্যেও অভিনবত্ব প্রয়োজন। আর তাছাড়া সত্যিই তামিলনাড়ুর মানুষ বিজেপিকে এতটাই অপছন্দ করেন যে, মোদি-শাহরা প্রচার করলে তাঁরা এআইএডিএমকে প্রার্থীর ভোট কাটার কাজটিই বেশি করে করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.