অভিষেকের গড়ে ভাঙন! শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

গতকাল তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার। স্পিড পোস্টের মাধ্যমে তৃণমূল ভবন আর তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন তিনি। এবার আজ শুভেন্দু অধিকারী আর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যোগ দিলেন বিজেপিতে।

গত রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলা সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন যে, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগান আর কলকাতা সব ফাঁকা করে দেব। তৃণমূল কোম্পানির পতাকা ধরার মতো কেউ থাকবে না। ওনার এই হুঙ্কারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গতকাল দীপক হালদার তৃণমূল থেকে ইস্তফা দেন, আর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।

আজ বারুইপুরে বিজেপির তরফ থেকে একটি যোগদান মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত আছেন বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী, সদ্য তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যাওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আর বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়। বারুইপুরে বিজেপির এই যোগদান মেলাতে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান তৃণমূলের বিধায়ক দীপক হালদার।

বারুইপুরের সভা থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যোশ আভি ভি বাকি হেয়। আমাদের আরও অনেকদূর যেতে হবে। শুভেন্দু আর আমি অনেক রাজনৈতিক আন্দোলনে সামিল ছিলাম। বহুবছর কাজ করেছি। আমরা এখনো সহকর্মী।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি এর আগেও এখানে বহুবার এসেছি। তবে এবার এখানকার চিত্রটাই আলাদা মনে হচ্ছে। এখন দেখে মনে হচ্ছে এটা বিজেপির মাটি, দুর্জয় ঘাঁটি। তিনি বলেন, এটা গণতান্ত্রিক দেশ, এখানে যেকেউ নিজের ইচ্ছে মতো রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারে। কিন্তু শাসক দল এখন বিজেপির সভা দেখলেই ভয় পাচ্ছে। গেল গেল রব উঠছে। তৃণমূল এখন দেউলিয়া। ওদের পায়ের তলায় মাটি নেই।

তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, আজ রাজ্যের অবস্থা কোথায় গিয়েছে সেটা ভাবলে অবাক লাগে। বাংলায় স্থায়ী চাকরি নেই। কর্মসংস্থানের কোনও ব্যবস্থা নেই। এই রাজ্যে ৫ লক্ষ সরকারি শূন্যপদ পড়ে রয়েছে, কিন্তু চাকরির ব্যবস্থা নেই। আমরা ক্ষমতায় এলে বাংলার বেকার যুবক যুবকদের জন্য স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.