নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের দিকে দিকে অশান্তি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি সরাসরি বলে দিলেন, “তৃণমূলের হয়ে যারা ভোট লুঠ করে, রিগিং করে, সেই অনুপ্রবেশকারীদের রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।” যদিও বিজেপির সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
এদিন দিলীপবাবু বলেন, “বাংলায় যা শুরু হয়েছে তা ৪৬-এর ভয়াবহ গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর স্মৃতি উস্কে দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পুলিশের হাতে নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চুপ করে বসে দেখছেন। সেনা নামানোর মতো পরস্থিতি তৈরি হয়েছে।”
মেদিনীপুরের সাংসদ আরও বলেন, “দেশ ভাগের সময় যে হিন্দুরা জ্বালা নিয়ে এপার বাংলায় এসেছিলেন, এই আইনের মধ্যে দিয়ে তাঁদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কিন্তু যে ৬০-৭০ লক্ষ অনুপ্রবেশকারী এখানে ঢুকে বসে রয়েছে তারা আবার ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে।” মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে দিলীপবাবু বলেন, “ভোটব্যাঙ্ককে রক্ষা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর কত নীচে নামবেন?”
যারা হিংসা ছড়াচ্ছে তাদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। এদিন মমতা বলেন, “গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করুন, কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। পথ অবরোধ, রেল অবরোধ করবেন না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বরদাস্ত করা হবে না। যাঁরা গণ্ডগোল করছেন, রাস্তায় নেমে আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন, তাঁদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। বাসে আগুন লাগিয়ে, ট্রেনে পাথর ছুড়ে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শুক্রবার দুপুর থেকেই অশান্তি শুরু হয় রাজ্যে। কলকাতা থেকে জেলা—কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে অশান্তির আঁচ। উলুবেড়িয়া, বেলডাঙা, ডায়মন্ড হারবার, পার্ক সার্কাসে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি তৈরি হয়। ট্রেন পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। শনিবার সকাল থেকেই আরও নতুন নতুন জায়গা থেকে অশান্তির খবর মেলে।