মোদিজী ও অমিত শাহ’র নেতৃত্বে কেন্দ্র কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করেছে। অথচ ঠিক তার উলটো ভূমিকায় এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চালানোর অভিযোগ বিজেপির। মমতা বন্দোপাধ্যায় পিছন দরজা দিয়ে ঢুকে পাহাড়ে অশান্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করলেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে দলীয় কার্যালয়ে বসে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করে দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন রাজ্য সরকার পাহাড়ে অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে। যেহেতু রাজ্য সরকারের কেউ সেখানে যেতে পারছেন না তাই তারা কেউ পাহাড়ের সমাধান চাইছেন না।
তিনি দাবি করে আরও বলেন, বিজেপি সব সময়ই পাহাড়ের শান্তির পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। দার্জিলিংবাসীর সঙ্গে সঙ্গে বিজেপিও সব সময়ই পাহাড়ে স্থায়ী সমাধান চাইছে। সেখানকার মানুষদের সেন্টিমেন্টকে সব সময়ই বিজেপি সম্মান জানিয়ে এসেছে। দার্জিলিং এর মানুষ তৃণমুলকে ভোট না দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা মমতা বন্দোপাধ্যায়কে চাইছেন না। এরকম পরিস্থিতিতে পিছনের দরজা দিয়ে পাহাড়ে ঢুকে অশান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টা তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে বিজেপি সভাপতি এদিন অভিযোগ করেছেন।
এদিন আদালতে হাজিরা দিতে বুনিয়াদপুরে এসেছিলেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার। গত ৮ জুন নাগরিক অভিনন্দন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বুনিয়াদপুর ও গঙ্গারামপুরে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল।
পাশাপাশি গঙ্গারামপুরে নাগরিক অভিনন্দন কর্মসূচি শেষে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাথর ছোড়া ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে দিলীপ ঘোষ সহ দুই হাজারেরও বেশি দলীয় কার্য কর্তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল পুলিশ।
সেই সংক্রান্ত মামলায় বংশিহারী ও গঙ্গারামপুর থানায় দায়ের করা সেই মামলায় আগেই কলকাতা হাইকোর্ট থেকে তাঁরা আগাম জামিন পেয়েছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এদিন তিনজনে মহকুমা আদালতে হাজির হলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অপর্না দাস তাঁদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। জামিন পেয়ে আদালত থেকে বের হতেই বাইরে অপেক্ষারত কর্মীরা রাজ্য সভাপতি সহ তিনজনকে মালা পড়িয়ে দেন।
সেখান থেকে র্যালি করে তাঁরা বুনিয়াদপুরের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বিপ্লব মিত্র ও জেলাপরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় ও দুই কর্মাধ্যক্ষ মফেজুদ্দিন মিয়া এবং চিন্তামনী বিহাও উপস্থিত ছিলেন।