আবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে ফের দিলীপে ঘোষের নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধিতা করায় মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে দেশদ্রোহী বলে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের সংবিধান মানেন না বলেও কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ।
নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে শুরু থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় আইন এরাজ্যে কোনওভাবেই তিনি কার্যকর করবেন না বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে নিজেও পথে নেমে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। একাধিক সভা ও মিছিলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন মমতা। এরই পাশাপাশি কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের একজোট হতেও আবেদন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই তুমুল বিরোধিতা নিয়ে পালটা পথে নেমেছে বিজেপিও। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির সমর্থনে কলকাতা-সহ জেলাগুলিতে বিজেপির একের পর এক সভায় মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে প্রচার আরও তীব্র করছেন বিজেপি নেতারা।
স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই এবার বারাকপুরে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে আবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্য সভাপতির কটাক্ষ, ‘মুখ্যমন্ত্রী একজন দেশদ্রোহী। একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও সংবিধান মানেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ এরই পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতিরও অভিযোগ তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। মমতাকে তোপ দেগে দিলীপের কটাক্ষ, ‘দুষ্কৃতী, দাঙ্গাবাজদের সমর্থনে দল চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে দেশের অন্যান্য অংশের পাশাপাশি প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল বাংলাও। শহর কলকাতা-সহ রাজ্যজুড়ে পথে নেমে আন্দোলনে সোচ্চার হতে থাকেন মানুষ। কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে একটা সময় তাণ্ডব চলে গোটা রাজ্যজুড়ে। রাজ্যের একাধিক জেলায় চলে পথ ও ট্রেন অবরোধ। রাস্তা ও রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে চলে অবরোধ। একইসঙ্গে ট্রেন, বাসেও আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখান একশ্রেণির আন্দোলনকারী। পথে বেরিয়ে পরপর বেশ কয়েকটি দিন নাকাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে। তীব্র হয়রানির শিকার হতে হয় স্কুল পড়ুয়াদেরও। আন্দোলনের নামে রাজ্যে কয়েকদিন ধরে চলা তাণ্ডবের জেরে কয়েকশো কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়।
এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ‘ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি সম্পত্তিতে ভাঙচুর, আগুন জ্বালাতে দেখেও তাণ্ডবকারীদের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।’