বুধবার বোমা ফাটালেন দিলীপ। সাফ জানালেন, মমতার তোষণ নীতির জন্যই ভেঙে পড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। এদিন রাজ্য দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেন ওরা, তাই ওরা আইনের উর্ধ্বে, আইনশৃঙ্খলাকে বিপন্ন করেও ছাড় পাচ্ছে একটি বিশেষ সম্প্রদায়।
”রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল বন্ধ। বেসরকারি হাসপাতালের পরিষেবাও ব্যাহত। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ রোগী আসেন। অনেকে ক্যানসার আক্রান্ত। কী অবস্থায় আছেন তাঁরা! ডাক্তাররা আজ পরিষেবা দেননি। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা? তাঁরা বাধ্য হয়েছেন। তাঁরা বিপন্ন। একাধিক হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে। বিকেল পাঁচটায় রোগী মারা গেল, আর রাতে এনআরএসে অবাধে ঢুকে পড়ল দুষ্কৃতীরা। হাসপাতাল মারপিট করার জায়গা?” এমনই একাধিক প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ।
সরাসরি মমতার বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ তুলে দিলীপ বলেন, ”একটি বিশেষ সম্প্রদায়, যাদের দুধ খান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাই সন্দেশখালিতে খুন করেছে। গতবছর কলকাতা মেডিক্যালে হামলা করেছে। আইনে বাইরে গিয়ে খালি মমতাকে ভোট দেওয়ার অধিকারে আইনশৃঙ্খলাকে বিপন্ন করছে ওই সম্প্রদায়। বিজেপির উপরে হামলা করা হচ্ছে। গত এক বছরে একটাও এফআইআর দেখলাম না। কেউ সাজা পেল না”।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন তোলেন, একটি ঘটনাকে মেরুকরণ করছে বিজেপি?
উত্তরের দিলীপ ঘোষ বলেন,”যা সত্যি সেটাই বলছি। একটি সম্প্রদায়কে ব্যবহার করছে একটি দল। ভোটের পর ডায়মন্ড হারবারের একাধিক গ্রাম হিন্দুশূন্য করা হয়েছে। গ্রাম ছাড়া হয়েছেন হিন্দুরা। সন্দেশখালিতে খুনিরাও একই সমাজের। একটা সমাজের লোকেদের নিজেদের স্বার্থে দুষ্কৃতী তৈরি করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই সমাজের যারা মাথা তাদের বলব, এদের ফাঁদে পা দেবেন না”।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা তৈরি হয় এনআরএস হাসপাতালে। রোগীর পরিবার একাধিক অভিযোগ তোলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। দুই দলের বচসা ও ইট বৃষ্টিতে গুরুতর আহত হন পরিবহ মুখোপাধ্যায় নামের এক ইন্টার্ন ডাক্তার। জার জেরে আজ রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতিতে জুনিয়ার ডাক্তাররা। বন্ধ স্বাস্থ্য পরিষেবা। বিপন্ন রোগীরা।