‘কেন্দ্রীয় সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতেই দিল্লিতে বিস্ফোরণ’, দাবি দিলীপের

কেন্দ্রীয় সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতেই দিল্লির ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে মনে করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায় ‘‘কৃষক আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতেই রীতিমতো পরিকল্পনা করে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।’’ এদিকে, দিল্লির বিস্ফোরণের তদন্তে ক্রমশ প্রকাশ পাচ্ছে একাধিক তথ্য।

শুক্রবার ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণে হাত ছিল ইরানের? ঘটনাক্রম কিন্তু সেদিকেই দিক নির্দেশ করছে। দিল্লি পুলিশ জানাচ্ছে বিস্ফোরণস্থল থেকে মিলেছে একটি ফুলের সাজি বা টব। রাস্তার ওপর ডিভাইডারে তা পোঁতা ছিল। সেই টবেই ছিল বোমা।

এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে একটি খাম, যার ওপরে ইজরায়েলি দূতাবাসের ঠিকানা লেখা ছিল। সেখান থেকে একটি চিঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে এই বিস্ফোরণকে ট্রেলার বলে অভিহিত করা হয়েছে। চিঠিতে দুই ইরানিয়ান শহিদের নাম উল্লেখ রয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে কাশেম সোলেইমানি ও ডঃ মোহসেন ফকরিয়াজাদেহের নাম। উল্লেখ্য, মেজর জেনারেল সোলেইমানি ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হন। তিনি ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড গ্রুপের জনপ্রিয় কমান্ডার ছিলেন। অন্যদিকে, ফকরিয়াজাদেহ ছিলেন ইরানের নামকরা পরমাণু বিজ্ঞানী। তেহরান বিশ্বাস করে ইজরায়েলের তৈরি করা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রেই খুন করা হয়েছে ফকরিয়াজাদেহকে।

এই ঘটনার পরে ইরানের ধর্মীয় শীর্ষ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেইনি মোহসিনের এই হত্যাকান্ডের প্রবল বিরোধিতা করেন। এই হত্যার প্রতিশোধ যে কোনও মূল্যে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সরকারি সংবাদমাধ্যম আল আলম জানায় যে অস্ত্র দিয়ে মোহসিনকে খুন করা হয়েছে, তা উপগ্রহ মারফত পরিচালিত ছিল। এই আকস্মিক হত্যা কান্ডে গোটা দেশ ক্ষুব্ধ। তবে জনগণকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আবেদন জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি।

ইজরায়েলি দূতাবাসের বাইরের সেই বিস্ফোরণে কোনও দোষীকে রেয়াত করা হবে না। সাফ জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। শুক্রবার বিস্ফোরণের পরেই ইজরায়েলি বিদেশমন্ত্রী গাবি আশকেনাজির সঙ্গে কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দেন তিনি।

এদিকে, দিল্লির বিস্ফোরণের পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলার পরিকল্পনা ছিল বলে মনে করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘কৃষক আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতেই রীতিমতো পরিকল্পনা করে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.