আজই আসামে এনআরসির (NRC) চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে।
এনআরসির রাজ্য সমন্বয়কারী প্রীতেক হাজেলা জানিয়েছেন যে ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার মানুষ এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে এবং ১৯,০৬,৬৫৭ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যারা এতে সন্তুষ্ট নন তারা ফরেনস ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন করতে পারবেন। রাজ্যের সুরক্ষা ব্যবস্থার বিবেচনা করে, ৫১ টি সংস্থাকে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
সকালের এই খবরের পর আজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ NRC নিয়ে বড় বয়ান দেন। আজ সাংগঠনিক কাজে পূর্ব বর্ধমানের সফরে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকেই তিনি কার্যত হুঁশিয়ারির সূরেই বলেন, বাংলাদেশি হিন্দুরা স্বাগত, অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের ঠাঁই নেই। এমনকি তিনি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তাঁদের কোন রেয়াত করা হবেনা।
দিলীপ ঘোষ এর আগেই বলেছিলেন যে, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলেই NRC প্রক্রিয়া চালু করা হবে। এবং এই প্রক্রিয়া চালু হলে অবৈধ বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই ঘোষণা পর মমতা ব্যানার্জী আশ্বাস দেন যে, এই রাজ্যে বিজেপি কোনদিনও ক্ষমতায় আসবে না। আর NRC ও চালু হবেনা। এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী অসমে NRC প্রক্রিয়া নিয়ে এর আগেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, অসম থেকে সমস্ত বাঙালিদের তাড়ানোর চেষ্টা করছে মোদী সরকার।
এমনকি ২০১৪ এর নির্বাচনের আগে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে এসে অবৈধ বাংলাদেশিদের তাড়ানোর কথা বলেছিলেন। তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নরেন্দ্র মোদীর ওই বক্তব্যের বিরোধিতা করে বিজেপি সমেত নরেন্দ্র মোদীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন যে, কোন বাংলাদেশির গায়ে হাত দিলে কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবেনা। এমনকি অসমে NRC এর প্রথম সূচি জারি হওয়ার পর মমতা ব্যানার্জী রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন। আর এরপর আজকের দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্য রাজ্যে আমার রাজনৈতিক আবহাওয়া গরম করবে বলেই বিশেষজ্ঞদের মত।