রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। প্রতিবারই কোন না কোন স্থান থেকে প্রশ্ন ফাঁসের মত ঘটনা ঘটে। প্রত্যেকবারই নতুন নতুন উদ্ভাবনী পন্থা আবিষ্কার করে তা আটকাবার চেষ্টা করে রাজ্য শিক্ষা দফতর। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে সমৃদ্ধ হওয়া স্কুল শিক্ষা দফতর একে একে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিষিদ্ধ করেছে স্মার্ট ঘড়ি থেকে ফোন। সমস্ত রকমের গ্যাজেট নিয়ে ঢোকা এমনকি রঙিন পেনটসিল বাক্স অবধি নিয়ে ঢুকতে মানা সেখানে ।
পরীক্ষা চলাকালীন কোন পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশের কোন জেরক্সের দোকান খোলা রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তাতেও ফল না হওয়ায় যে সকল স্থানে অতীতে টুকলি ঘিরে অশান্তির ইতিহাস রয়েছে,সেই সমস্ত স্থানে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই বছর থেকে। কিন্তু এত কঠোর ব্যবস্থাই সার। কারণ জানা গিয়েছে মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনেই প্রশ্ন পত্র ফাঁস হয়ে যায়। সেই প্রশ্ন ঘুরতে থাকে হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে। তবে তার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি ।
এই প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা মন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সরাসরি রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য বলেন, ” ওনাকে ধন্যবাদ যে উনি প্রশ্ন ফাঁসের পরম্পরা বজায় রেখেছেন। কারণ এই সরকার আসার পর থেকেই প্রশ্ন ফাঁস হওয়া একটা ফ্যাশান হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেটাকেই উনি ধরে রেখেছেন বলে ব্যাঙ্গ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ।