আবারও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখো হন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলকে বিঁধে দিলীপের কটাক্ষ, ‘‘যে দল ছেড়ে এমপি, এমএলএ, মন্ত্রীরা চলে যায়, সেই পার্টির আছে টা কী’।
বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতি-সরগরম। শুক্রবারই রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও একের পর এক সরকারি পদ থেকেও ইস্তফা দিয়ে চলেছেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। এরই পাশাপাশি শুক্রবারই দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীও। তবে শুভেন্দু অধিকারী এখনও সরাসরি তৃণমূল ছাড়ার ঘোষণা করেননি।
এদিকে, তৃণমূলের একের পর এক জনপ্রতিনিধি দলের প্রতি অসন্তোষ জানিয়ে পদ ছাড়ায় শাসক-শিবিরকে কটাক্ষ করছেন বিরোধী নেতারা। শনিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ঢঙেই আক্রমণ শানালেন তৃণমূলকে। রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, ‘‘যে দল ছেড়ে এমপি, এমএলএ, মন্ত্রীরা চলে যায়, সেই পার্টির আছে টা কী? একমাস পর দেখবেন, এই পার্টিটা বলে কিছু থাকবে না।’’
শুভেন্দু অধিকারী যে দফতরগুলির দায়িত্বে ছিলেন এবার সেই দফতরগুলির কাজ নিজেই দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘দিদি এখন নিজের পার্টির ডিজাস্টার নিয়েই ব্যস্ত। দলের ডিজাস্টার নিয়ে এখন প্রতিদিনও মিটিং হতে পারে।’’ রাজ্যে বিধানসভা ভোট যত এগোচ্ছে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদও ততই বাড়ছে। শাসকশিবির যেমন নিজেদের ফাঁকফোকর মেরামত করে নতুন করে ঝাঁপাতে তৈরি হচ্ছে, উল্টোদিকে ঘুটি সাজাচ্ছে বিরোধীরাও।
একুশের ভোটে বাংলা দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির। জেলায়-জেলায় সাংগঠনিক বৈঠক সারছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের রাজ্য নেতারাও একের পর এক জেলা ঘুরে কর্মীসভা সারছেন। পিছিয়ে নেই বাম-কংগ্রেসও। আসন্ন বিধানসভা ভোটে সমঝোতা করে লড়াই করবে বাম ও কংগ্রেস। কখনও যৌথভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি সারছেন দু’পক্ষের নেতারা। কখনও আবার আলাদা করেই কর্মীসভা, বৈঠক চলছে।