কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির সীমানা ঘেরাও করে রেখেছেন লক্ষ-লক্ষ কৃষক। তিনটি আইই বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষকরা। প্রবল শীত, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দাঁতে-দাঁত চেপে অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে সামিল কৃষকরা। তাঁদের ‘মরণপণ’ এই আন্দোলনকে আবারও কটাক্ষ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
‘‘সমাধানের জন্য ওখানে আন্দোলন করা হচ্ছে না। কৃষকদের আন্দোলন এখন দালাল, মাওবাদীদের হাতে চলে গিয়েছে। এটা সার্বিক আন্দোলন হলে সারা দেশে প্রভাব পড়ত। বাংলায় তো কিছু হচ্ছে না।’’ এপ্রসঙ্গে নাম না করে এরাজ্যের বাম নেতাদের নিশানা করেছেন দিলীপ ঘোষ। দিল্লির কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে বামেদের সংগঠন। কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা কৃষকদের সঙ্ঘবদ্ধ করে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষকরা। একটানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির সীমানা ঘেরাও করে রেখেছেন পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, চণ্ডীগড়-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে যাওয়া লক্ষ-লক্ষ কৃষক।
জট কাটাতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষকদের সাত দফার বৈঠক হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রফাসূত্র মেলেনি। কৃষকরা তিনটি কৃষি আইনই বাতিলের দাবিতে অনড়। উল্টোদিকে, কেন্দ্রের তরফে আইনে সংশোধনী আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
জট কাটাতে সোমবারও বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ফসলের ন্যূনতম দাম নিয়ে কেন্দ্রের তরফে লিখিত গ্যারান্টি দেওয়ার কথাও কৃষক প্রতিনিধিদের বলা হয়। তবে আইন বাতিলের রাস্তায় হাঁটতে নারাজ কেন্দ্র। কৃষকরা কৃষি আইনে কোনও রকম সংশোধনীর প্রস্তাবে সমর্থন জানাচ্ছেন না।
শুরু থেকেই কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবি করে আসছেন কৃষকরা। সোমবার সপ্তম দফার বৈঠকে সেই একই দাবিতে অনড় কৃষক প্রতিনিধিরা। কেন্দ্র দাবি না মানলে দিল্লি ঘেরাও অভিযান জারি থাকবে বলে মঙ্গলবারও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা।
কেন্দ্রীয় সরকারও আলোচনার মাধ্যমে কৃষি আইন সংক্রান্ত জটিলতা কাটাতে তৎপর। আগামী ৮ জানুযারি ফের কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই বৈঠকে রফাসূত্র মিলবে বলে আশাবাদী কেন্দ্রের মন্ত্রীরা।