জঙ্গলমহলের জনসভা থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, দিদির পরিবর্তন হয়েছে, ভাইদের পরিবর্তন হয়েছে। বাংলার কোনও পরিবর্তন হয়নি।’ তিনি এও বলেন, ‘নতুন বছরে করোনার মতই তৃণমূল চলে যাবে।’
রবিবার ঝাড়গ্রামের জনসভায় কটাক্ষের সুরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মমতা বলেন জঙ্গলমহল হাসছে, আমরা হাসি দেখি না। জঙ্গলমহল থেকে যুবক-যুবতী অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। আজ জঙ্গলমহলের ভূমিপুত্ররা পরিবর্তন করতে এসেছে।’ দিলীপ ঘোষের দাবি, দুই মেদিনীপুর মিলিয়ে ৩৫টি আসনেই জিতবে বিজেপি। বলেন, ‘অখণ্ড মেদিনীপুরের ৩৫টি আসনেই জিতবে বিজেপি। বাংলায় ২০০-র বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।’ এরপরই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘বিজেপি সরকারে এলে জঙ্গলমহলের যুবকরা চাকরি পাবে। বাংলার যুবকদের আর বাইরে যেতে হবে না।’
দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে দাঁড়িয়ে এদিন প্রাক্তন দল তৃণমলের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ, বেকারত্ব, ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেইসঙ্গে ‘পিসি-ভাইপোর কোম্পানি’ বলে কটাক্ষ করে তৃণমূলকে বাংলা ছাড় করার ডাক দেন তিনি। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, ‘একুশে বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে।স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূলকে বিঁধে শুভেন্দুর দাবি, ‘তৃণমূলের পঞ্চুরা এতই নির্মম যে আইসিডিএস-এর চাকরি পরিবারের বাইরে কাউকে দেন না। চুক্তির পাঁচ-ছয় হাজার টাকার কাজ দিতেও কয়েক লাখের ঘুষ খান।’
কথা প্রসঙ্গে শুভেন্দু সমবেত জনতাকে মনে করিয়ে দেন, বাম আমলে এখানকার অত্যাচারিতদের পাশে কী ভাবে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তাঁর ইঙ্গিত, যেন এখনও পরিস্থিতি সেইরকমই চলছে বলে তিনি আবার এখানকার মানুষদের রক্ষার বাসনায় এখানে এসেছেন। এর পরেই গিয়ার বদলে আবার আক্রমণাত্ম হয়ে ওঠেন তিনি। বলেন, তৃণমূলকে এখানে চারটি আসনেই হারাতে হবে। এখানে দু’টি জেলা পরিষদ তৃণমূল অন্যায় ভাবে দখল করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, বাংলায় এবং দিল্লিতে একই দলের সরকার হবে।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে এটিই জঙ্গলমহলে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর এটি প্রথম যৌথ সভা ছিল। গোপীবল্লভপুর ২ ব্লকে এই সভার আয়োজন হয়েছিল। সভাটির নাম ‘যোগদানমেলা’ দেওয়া হলেও সে অর্থে যোগদান হয়নি বললেই চলে।