গত শনিবার ১৯ তারিখ আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পর মাত্র ৭২ ঘন্টার ব্যবধান। দলের হয়ে প্রচারে জোরকদমে নেমে পড়তে চলেছেন বিজেপির নব্য সদস্য।
বিজেপি সূত্রের খবর, কাল পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভা নির্ধারিতই ছিল। ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন শুভেন্দু অধিকারীও। অর্থাৎ কাল নতুন এক যুগলবন্দি দেখা যাবে গেরুয়া মঞ্চে।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বরাবরই আগ্রাসী নেতা। কিন্তু তার মুখে-চোখে সেই আগ্রাসনের অভিব্যক্তি কম। খুব অনায়াসে, কখনও বা মজা করে চাঁচাছোলা কটাক্ষ করেন বাংলার শাসক দলকে। এই যেমন, সেদিন রতুয়ার সভায় উন্নয়ন নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “দিদিমণি বলছেন, উন্নয়ন না হলে ডেভেলপমেন্ট হয় না। ব্যাপারটা আগে বুঝিনি। এখানে এসে রাস্তার হাল দেখে বুঝলাম সত্যিই তাই। উন্নয়ন হয়নি তাই ডেভেলপমেন্টও হয়নি।”
কিন্তু শুভেন্দুর আগ্রাসন মারাত্মক। গত ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামের সভা বা ১৫ ডিসেম্বর হলদিয়ায় হেলিপ্যাড মাঠে সভায় তা দিব্য বোঝা গিয়েছে। আর মেদিনীপুর কলেজ মাঠে সভায় তাঁর আগ্রাসনের কত ভোল্টেজ ছিল কে জানে! বক্তৃতা শেষের আগে বলেছিলেন, “এবার বলব তোলাবাজ ভাইপো হঠাও, তোলাবাজ ভাইপো হঠাও।”
বিজেপির এক রাজ্য নেতার কথায়, “রাজ্য-রাজনীতিতে এ হেন যুগলবন্দি হালফিলে হয়নি। ‘নরম নরম-গরম গরম’ হবে কাল।”
বাংলায় সময়ে ভোট হলে তা শুরুই হতে পারে এপ্রিল মাসের গোড়ায়। অর্থাৎ কম করে এখনও তিন মাস বাকি। কিন্তু যুযুধান দুই পক্ষ যে রকম আক্রমণ প্রতি আক্রমণে নেমেছেন তাতে অনেকেরই মনে হচ্ছে ভোটের হয়তো পনেরো দিনও বাকি নেই। গত শনিবার মেদিনীপুর মাঠে বিশাল সভা করার পর গতকাল রবিবার বোলপুরে রোড শো করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
আজ সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিয়েছেন, ২৯ তারিখ বোলপুরে এবার তাঁর রোড শো হবে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ব্যাপারটা এখন পরিষ্কার। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নন। যেন মিলিমিটার-সেন্টিমিটারের হিসেব নিয়ে লড়াই চলছে।