সম্পর্কে মেসো শ্বশুর, তার উপরে এলাকার তৃণমূল নেতা। তার সঙ্গেই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিল স্বামী। এনিয়ে হইচই ধুপগুড়ি ব্লকের গাদাং ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে।
অভিযুক্ত স্বামীর প্রায় ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবন। দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। এতদিন পর এই কাণ্ড। তিন তালাক নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর এভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ করা য়ায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এলাকায়।
ধূপগুড়ি তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রামীণ সাধারণ সম্পাদক সাহানাতুল্লার সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কের কথা জানতে পারেন অভিযুক্ত স্বামী। এটা বছর খানেক আগের ঘটনা। এরপরই সালিশি সভা ডেকে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হয়। তখনকার মতো বিষয়টি থিতিয়ে গেলেও ফের তা সামনে চলে আসে।
সম্প্রতি সাহানাতুল্লার সঙ্গে অভিযুক্তের স্ত্রীর একটি ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। চলন্ত গাড়িতে তোলা ওই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সোমবার পরিচিত কিছু লোককে সাক্ষী রেখে স্ত্রীকে তালাক দেন অভিযুক্ত। এই তালাক নিয়েই এখন উঠেছে প্রশ্ন। তিন তালাক নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর এভাবে কি তালাক দেওয়া যায়?
ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, এলাকার তৃণমূল নেতার সঙ্গে মেলামেশা করতো স্ত্রী। এনিয়ে সালিশি সভা হলেও সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিল স্ত্রী ও ওই তৃণমূল নেতা। তাই স্ত্রীকে তালাক দিয়েছি।
অন্যদিকে, তালাক পেয়ে খুশি ওই মহিলা। মেসো শ্বশুরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মেসো শ্বশুর কিনা জানি না, আমরা ২ বছর আগেই বিয়ে করেছি। প্রথমপক্ষের স্বামীকে ভালো লাগে না। তাই মেসো শ্বশুরকে বিয়ে করেছি। এখন স্বামী যেহেতু তৃণমূল নেতা তাই তাকে বদনাম করতেই আমাদের ভিডিয়ো ভাইরাল করা হয়েছে। এনিয়ে আইনের দ্বারস্থ হব।