উপনির্বাচন সম্ভব নয়! বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন পুষ্কর সিং ধামি

এবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব ভার গ্রহণ করলেন পুষ্কর সিং ধামি। রাজ্যে বিজেপির পরিষদীয় দল আজ তাকে বেছে নেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। ধামি কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।তবে মুখ্যমন্ত্রীত্বের জন্য সুযোগ পেলেও তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ রইল এক বছরেরও কম সময়ে তাঁকে কাজ করে দেখাতে হবে। কারণ এক বছরের মধ্যেই বিধানসভায় ভোট উত্তরাখণ্ডে।

গতকাল মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তিরথ সিং রাওয়াত। এরপরই তাঁর জায়গায় কাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে বেছে দিতে দেরাদুনে দলের রাজ্য সদর দপ্তরে ৫৭ জন বিজেপি বিধায়ককে ডাকা হয়। ওই বৈঠকে খাতিমা বিধানসভা কেন্দ্রের ২ বারের বিধায়ক বছর ৪৫-র পুস্কর সিং ধামিকে মনোনীত করে পরিষদীয় দল।

উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভগৎ সিং কেশিয়ারির বিশেষ আধিকারিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ধামি। বিধায়কদের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্র সিং তোমার। তিনি ওই রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। এছাড়াও বৈঠকে তার সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পর্যবেক্ষক দুষ্যন্ত কুমার গৌতম।

বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করার আগে রাওয়াত সহ রাজ্যে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তোমার। আগামী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রায় আধ ডজন নাম নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে বলে খবর। সৎপাল মহারাজ, ধন সিং রাওয়াত,পুষ্কর সিং ধামির নাম এই তালিকায় ছিলেন। এমনকি তিরথ সিং রাওয়াতের আগের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের নামও সুপারিশ করা হয়েছিল।

গত চার মাসে এই নিয়ে উত্তরাখণ্ডে তিনবার মুখ্যমন্ত্রীর বদল হলো। মার্চ মাসে দলের মধ্যে বিদ্রোহের কারণে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। তার জায়গায় শপথ নেন তীরথ সিং রাওয়াত। কিন্তু তিনি বিধায়ক না হওয়ায় ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হতো। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন সম্ভব নয়। আর এক বছরের মধ্যে ভোটগ্রহণ হবে উত্তরাখণ্ডে। সর্বোপরি করোনার মধ্যে মার্চ-এপ্রিলে বাংলা, অসম, কেরল, তামিলনাড়ু পদুচেরিতে ভোট করানোয় বিতর্কের মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। সংবাদমাধ্যমকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত জানান, কমিশনের তরফ লিখিতভাবে বলা হয়েছে কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন সম্ভব নয়। আর উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। সেই জন্য চার মাসের মধ্যে এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে হলো। যদিও দলের একাংশের মতে সাংবিধানিক কারণ নয় দলের অন্তর্কলহ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েই পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন তিরথ সিং রাওয়াত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.