যে ক’দিন রাজ্যে ছিলেন, দলের হাল-হকিকতের রিপোর্ট সভাপতি অমিত শাহকে তুলে দিলেন বিজেপির মেঘনাদ সুনীল দেওধর। অরবিন্দ মেনন, শিবপ্রকাশ জৈন তো আগে থেকেই রাজ্যের রিপোর্ট বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী রামলাল গুপ্তা আর সভাপতি অমিত শাহকে দিচ্ছেন। কিন্তু, সূত্রের খবর তাতে সন্তুষ্ট নন অমিত। কারণ, সাট্টাবাজার অন্য কথা বলেছে। বিজেপি সভাপতি নাকি এই সাট্টাবাজারের হিসেবকে গুরুত্ব দেন। তাই দেওধরকে প্রকৃত ছবিটা জানতে পাঠিয়েছেন। মুম্বইয়ের ভোটে যোগ দিতে দেওধর সেখানে গিয়েছেন। ফিরবেন দু’চার দিনের মধ্যে। একই সময় রাজ্যে আসছেন শাহ। রাজ্যে একাধিক সভা করবেন বিজেপি সভাপতি।
সূত্রের খবর, অমিত শাহকে রাজ্য বিজেপি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, তৃণমূলের ভোট কমবে। সেটা ঢুকবে বিজেপিতে। তার ফলে তৃণমূল এবারের ভোটে দ্বিতীয় নয়, বিভিন্ন জায়গায় একেবারে তৃতীয় স্থান পাবে। কারণ, বহু আসনেই বিজেপি গত লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। সূত্রের খবর, শাহর কাছে দেওধরও একই রিপোর্ট দিয়েছেন। যাতে বলা হয়েছে, বিক্ষুব্ধ তৃণমূল ভোটটা দেবে বিজেপিকে। সেই সূত্র ধরেই মোদি থেকে শাহ, রাজ্যে ২০-র বেশি আসন পাওয়ার কথা বলছেন। সেই সব রিপোর্টের সূত্রেই, সোমবারের সভায় তৃণমূলের ৪০ বিধায়কের বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার দাবি প্রকাশ্যে করেছেন ৫৬ ইঞ্চির ছাতি।
এখনও পর্যন্ত এই বিধায়কদের তালিকায় শুভ্রাংশ রায়, সুনীল সিং, পরশ দত্ত, সব্যসাচী দত্তর মতো বেশ কিছু নাম রেখেছে গেরুয়া শিবির। রয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়-সহ হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কদের নামও। যাঁদের সঙ্গে নাকি সংঘের ‘সম্পর্ক টোলি (বিভাগ)’ এবং বঙ্গ বিজেপির নেতাদের একাংশ রেখে চলেছেন যোগাযোগ। এই সব নাকি রিপোর্টে অমিত-রামলালকে জানিয়েছেন বিজেপির মেঘনাদও। যার সূত্র ধরে এবারের নির্বাচনে বিজেপির স্লোগান হয়ে উঠেছে, ‘চুপচাপ পদ্মফুলে ছাপ।’