ভারতে প্রথম ভ্যাক্সিন আসছে কয়েকদিনের মধ্যেই

করোনা ভাইরাসের প্রথম ভ্যাক্সিন দিল্লি পৌঁছবে কয়েকদিনের মধ্যেই। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভ্যাক্সিন আসব দেশে। তবে রাজধানীতে কব মানুষ প্রথম ভ্যাক্সিন পাবে, তা এখনও স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি।

জানা গিয়েছ, আপাতত দেশের রাজধানীত ভ্যাক্সিন কীভাবে দিতে হবে, তা শেখানোর প্রক্রিয়া চলছে। ৩৫০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে সেই ট্রেনিং দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভ্যাক্সিন স্টোর করার জন্য ৬০৯ টি কোল্ড চেন স্পটকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সোমবার থেকে শুরু হবে ট্রেনিং-এর প্রক্রিয়া। যারা ভ্যাক্সিন দেবে, তাদের একদিনের একটা ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে।

যেসব হাসপাতালে স্টোর করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে, তার মধ্য আছে, রাজীব গান্ধী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, লোকনায়ক হাসপাতাল, বাবাসাহেব আম্বেদকর হাসপাতাল, জিটিবি হাসপাতাল এমনকি মোহল্লা ক্লিনিকও।

ট্রেনিং-এর জন্য মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজ তিন জন চিকিৎসককে বেছে নিয়েছে, যাদের ভ্যাক্সিনেটিং অফিসার করা হবে। আরও অনেককে এই পদের জন্য ট্রেনিং দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে জেলাস্তরের স্বাস্থ্যকর্মীরা ট্রেনিং পাবেন।

দেশে কিছুটা হলেও নিম্নমুখী করোনা সংক্রমণ। শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৫৫৬ জন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩০১ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩০ হাজার ৩৭৬ জন।

দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭৫ হাজার ১১৬ জন। এরমধ্যে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯২ হাজার ৫১৮ জন। দেশজুড়ে এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৬ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৭ জন। দেশজুড়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ১১১ জনের।

সুসংবাদ হল ভারতে সম্ভবত করোনার দ্বিতীয় টেউ আছড়ে পড়বে না। ভারতে দৈনিক সংক্রমণ কমছে। কোভিড আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি অতিমারিতে মৃত্যুর সংখ্যাও প্রতিদিন কমছে। বিশিষ্ট ভাইরাসবিদ ডাক্তার শহিদ জামিল জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় করোনার যে দাপট দেখা গিয়েছিল, সেই তুলনায় ভারতে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমেই নিম্নগামী।

অন্যদিকে ব্রিটেনে মিলেছে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন। আর তা নিয়ে ফের আন্দোলিত সারা বিশ্ব। আতঙ্ক থেকে বাদ পড়েনি ভারতও। নতুন করোনার স্ট্রেন রুখতে মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যের মিউনিসিপ্যাল কর্পারেশন এলাকায় চালু করছে নাইট কার্ফু।

ডিসেম্বরের ২২ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিন রাত ১১ টা থেকে সকাল ৬ টা অবধি জারি থাকবে এই নাইট কার্ফু। এই অবস্থা চলবে ৫ জানুয়ারি অবধি ।

এছাড়া ইউরোপীয় ও মধ্য প্রাচ্য থেকে আসা ব্যক্তিদের নিয়ে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে উদ্ভব ঠাকরের সরকার। ইউরোপীয় ও মধ্য প্রাচ্য থেকে আসা ব্যক্তিদের ১৪ দিনের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা ঘোষণা করেছে। এই যাত্রীদের মহারাষ্ট্রে আসার পঞ্চম বা সপ্তম দিনে কোভিড ১৯ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.