মহারাষ্ট্রের মত দিল্লিতেও লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির জেরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল শুক্রবার থেকে রাজধানীর সব স্কুল বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেছেন এবং পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত স্কুল খোলা হবে না।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইটে বলেন, ‘দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সরকারি ও বেসরকারি সব স্কুল বন্ধ রাখা হবে এবং পরবর্তী আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে।’ কয়েকদিন আগেই রাজধানীতে কোভিড–১৯ সংক্রমণ রোধ করতে দিল্লি সরকার নৈশ কার্ফু জারি করেছিল। যা রাত ১০ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কার্যকর ছিল। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত কিছুতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
যদিও রাজধানীর স্কুল বন্ধ ছিল। বোর্ডের পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে পিতামাতার অনুমতি নিয়ে শুধু মাত্র নবম শ্রেণী এবং একাদশ শ্রেণীর ক্লাস হয়েছিল। স্কুল খোলাকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। সিবিএসই ঘোষণা করেছে যে, দশম শ্রেণির পরীক্ষা ৪ মে থেকে ৭ জুনের মধ্যে হবে এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাগুলি ৪ মে থেকে ১৫ ই জুনের মধ্যে হবে।সাধারণত,প্রাক্টিকাল পরীক্ষা জানুয়ারীতে অনুষ্ঠিত হয় এবং লিখিত পরীক্ষাগুলি ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয় এবং মার্চ মাসে শেষ হয়ে থাকে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছিল ৭ হাজার ৪৩৭জন।এবং মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। দিল্লিতে সক্রিয় করোনা কেসের সংখ্যা ২৩ হাজার ১৮১জন। এখন পর্যন্ত দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছে মোট ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ০০৫জন। তবে ২০২১ সালে একদিনে সাত হাজারের ওপর নতুন করোনা কেস সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে।বৃহস্পতিবারও সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত কমপক্ষে ৮৩,৪৩৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লির স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে ৭২,২৬৭ জন সুবিধাভোগীকে প্রথম ডোজ এবং ১১,১৭০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।