দেবযানীর মা সাহায্য করেছিলেন সুদীপ্ত সেনকে গ্রেফতার করতে: সিবিআই সূত্র

সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে গ্রেফতার করাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন একজন মহিলার। কে সেই মহিলা জানাল সিবিআই।

সারদা-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরে পালিয়ে গিয়েছিল সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। পরে কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়ে সে । সেদিন সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে ছিল তাঁর ছায়াসঙ্গী দেবযানী মুখোপাধ্যায় এবং সারদা টুরস অ্যান্ড ট্র্যাভেলস-এর প্রধান অরবিন্দ সিং চৌহান। ২০১৩ সালে ওই তিনজনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।

সিবিআই সূত্রের খবর, ২০১৩ সালে ২২ এপ্রিল সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে পুলিশ আটক করে। এবং ২৩ এপ্রিল তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তবে তাকে গ্রেফতার করার পিছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন একজন মহিলার। কে সেই মহিলা?

শুক্রবার সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা হলেন সুদীপ্ত সেনের ছায়াসঙ্গী দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা। তিনিই তৎকালীন তদন্তকারী আধিকারিকদের বলেছিলেন, সুদীপ্ত সেন কাশ্মীরের সোনমার্গ এ আছেন। দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মায়ের দেওয়া ঠিকানায় পৌঁছে সুদীপ্ত সেনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ।

সূত্রের খবর, সারদা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর ২০১৩ সালের ১২ এপ্রিল দেবযানী এবং অরবিন্দকে নিয়ে কলকাতা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল সুদীপ্ত সেন। তার সঙ্গে ছিলেন গাড়ির চালক। চালককে রাঁচিতে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর রাঁচি হয়ে গাড়ি করে সড়কপথে হরিদ্বার, দেরাদুন, পাঞ্জাব হয়ে কাশ্মীরে গা ঢাকা দিয়েছিল সুদীপ্ত সেনরা। পরে দেবযানীর মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তৎকালীন তদন্তকারী আধিকারিকরা কাশ্মীরের কথা জানতে পারে।

কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে সুদীপ্ত সেনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর কাশ্মীর আদালতে তোলা হয়। এবং ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি হয়ে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়।

অন্যদিকে সারদা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে ২০১৪ সালে সিবিআই জানতে পারে, একটি লাল ডায়েরির কথা। ওই ডায়েরি নাকি রয়েছে সিটের কাছে৷ ডায়েরির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই দেবযানী মুখোপাধ্যায় সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়েছিল, এই ডায়েরির খোঁজে তল্লাশি চালানোর প্রয়োজন পড়বে না গোয়েন্দাদের৷ কারণ, অনেক আগেই সিটের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল ওই লাল ডায়েরি৷ সেই সময় এই সিটের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন বিধাননগর পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার৷ তবে সুত্রের খবর, রাজ্য পুলিশকে এই ডায়েরির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই রহস্য আরও ঘনিভূত হয়৷ সিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ডায়েরি তাদের কাছে নেই৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.