বিজেপিতে দেবশ্রী রায় রহস্যের যবনিকা পড়েনি। বরং রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে – বোঝা গিয়েছে মঙ্গলবার রাতে। মঙ্গলবার রাতে (এই প্রতিবেদন লেখার কিছুক্ষণ আগে) রায়দিঘির তৃনমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা বাংলা সিনেমার এককালের ১ নম্বর নায়িকা দেবশ্রী রায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাড়িতে হাজির হন। কিছুই জানতেন না দিলীপ।
ইতিমধ্যেই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে, বিজেপিতে যোগদান করতে চেয়ে যে দেবশ্রী দিল্লিতে ধাওয়া করেছিলেন, তিনি দিলীপ ঘোষের সল্টলেকের বাড়িতে হাজির হয়েছেন।
রাজারহাটে একটি হোটেলে আর্টিকেল 370 নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন দিলীপ। অনেকেই বলছেন দেবশ্রী নাকি দিলীপ কে ফোন করেই তাঁর সল্টলেকের সিকে ব্লকের বাড়িতে হাজির হয়েছেন।
দিলীপের বাড়িতে ঢুকে দেবশ্রী বসে ছিলেন। অপেক্ষা করছিলেন দিলীপের জন্য, সেই সময় অনেকেই তাঁকে সেখানে দেখে ফেলেন।
এরপর প্রায় সোয়া এগারোটা নাগাদ দিলীপ বাড়ি ফেরেন। সূত্রের খবর, তিনি দেবশ্রীকে জানিয়ে দেন এখুনি তাঁকে বিজেপিতে যোগদান করানও তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। বিষয়টি তাঁকে পার্টির সঙ্গে কথা বলে দেখতে হবে।
দেবশ্রী সেখান থেকে চলে গেলেও রহস্য দীর্ঘায়িত করে গেলেন। কার ইশারায় তিনি দিল্লিতে গিয়ে রাজ্যের পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তা এখনও রহস্য। মুকুল রায় বা দিলীপ ঘোষ সেই ব্যাপারে কিছু জানেন না বলেই দাবি করেন।
রাজ্য বিজেপি সূত্রে যা খবর, শোভন চট্টোপাধ্যায়-বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি গমনের খবর পেয়ে খুব সকালেই দিল্লি পৌঁছন মুকুল। কারণ, রাজ্যের পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন সেই ১৪ অগস্টের আগের রাতেই মুকুলকে তড়িঘড়ি দিল্লি পৌঁছতে বলেছিলেন।
মুকুল দিল্লিতে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির সদর দফতরে পৌঁছে দেখেন ইতিমধ্যেই দেবশ্রী রায় বসে রয়েছেন। তা দেখে তিনি রীতিমত চমকে ওঠেন। ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি মুকুল বলেছেন, দেবশ্রীর সঙ্গে কয়েক বছর কথা নেই। উনি বিজেপিতে আসতে চাইছেন তা জানা ছিল না। এরপর শোভন-বৈশাখী দফতরে প্রবেশ করেন।
অন্যদিকে, অভিনেত্রী তথা রায়দিঘির বিধায়ক দেবশ্রী রায় , শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তৃনমূলে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।’ সেক্ষেত্রে, দেবশ্রী রায় বিজেপিতে যোগ দিতে এলে থাকবেন না শোভন এবং তাঁর বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেবশ্রী রায় প্রসঙ্গে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বৈশাখী। মঙ্গলবার রাতে দেবশ্রী রহস্যের নতুন পর্ব শুরু হলো।