গত ছ’ বছরে নিজের দশটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্তত ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা সরিয়ে দিয়েছেন ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব৷ দেবাঞ্জনের অ্যাকাউন্টের লেনদেনের হিসেব খতিয়ে দেখে এবং ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে এমনই তথ্য হাতে পেয়েছেন বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যরা৷ এর পাশাপাশি দেবাঞ্জনের কসবার বাড়ি থেকে তল্লাশি করার সময় বিএসএফ-এর একটি ইউনিফর্ম উদ্ধার হয়েছে৷ দেবাঞ্জনের নামে সিলভার ব্যাজও পাওয়া গিয়েছে৷ ফলে বিএসএফ-এর ভুয়ো আধিকারিক পরিচয়ে দেবাঞ্জন প্রতারণার আলাদা কোনও কারবার ফেঁদেছিলেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
দেবাঞ্জনের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে আরও একগুচ্ছ নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ তদন্তকারীদের ধারণা, দেবাঞ্জন ভুয়ো নথির ব্যবহার করে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ভবনে আবেদন পাঠানোর প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য তা পাঠায়নি সে৷ সেরকমই একটি আবেদন পত্র দেবাঞ্জনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷
সূত্রের খবর, দেবাঞ্জন শুধুমাত্র ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিনকর্প নয়, কলকাতা পুরসভার প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট দফতরের নামেও সাতটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেছিল৷ এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে টাকা কোথায় কোথায় সরানো হয়েছিল, তা জানতে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ৷ দেবাঞ্জনের মেল আইডি নিয়েও তথ্য জানতে গুগলের সাহায্য নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ৷ ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশের তরফে গুগলকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে৷
ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে এ দিনই দেবাঞ্জনের আর এক সহযোগী ইন্দ্রজিৎ সাউকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ অভিযোগ, সিটি কলেজে দেবাঞ্জন যে ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল, তার যাবতীয় আয়োজন করেছিল এই ইন্দ্রজিৎ৷ সেই দেবাঞ্জনকে সিটি কলেজে নিয়ে গিয়েছিল৷ এর পাশাপাশি পীযূষ নামে এক ব্যক্তিকেও খুঁজছে পুলিশ৷ অভিযোগ, এই পীযূষকে দিয়েই যাবতীয় ভুয়ো নথি তৈরি করত দেবাঞ্জন৷