আজ সকাল ১১.৩০ টায় মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠক। পরবর্তী অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামীকাল। মঙ্গলবারই সকাল ৯ টায় ভারতীয় ক্রিকেটদলের প্রাক্তন অধিনায়ককে দেখতে আসছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক দেবী শেট্টি। তারপর আলোচনার করে নেওয়া হবে পরবর্তী অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি কবে হবে, সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত।
উডল্যান্ডস হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে তার আর বাইপাস সার্জারির কোনও প্রয়োজন নেই। আর এই খবরেই স্বস্তি ফিরেছে আসমুদ্র-হিমাচলে। শনিবার আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন BCCI প্রেসিডেন্ট। তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করে জানা যায়, সৌরভের হৃদযন্ত্রে রক্ত সরবরাহকারী তিনটি ধমনীতে ‘ব্লকেজ’ রয়েছে। তার মধ্যে একটিতে স্টেন্ট বসানো হয়েছে। বাকি দুটিতে স্টেন্ট বসানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ডা. দেবী শেট্টির সঙ্গে পরামর্শ করার পর। কবে বসানো হবে স্টেন্ট, এখনই নাকি সপ্তাহ দুয়েক পর, তাই নিয়েই হবে সিদ্ধান্ত।
কিন্তু কী এই স্টেন্ট? বিশেষজ্ঞরা বলেন,স্টেন্ট হল এক ধরনের ছোট ধাতব যন্ত্র। যা ধমনীর মধ্যে ঢুকিয়ে সম্প্রসারিত করা যায়। ধমনীর মধ্যে কোনও ব্লকেজ থাকলে অর্থাত্ কিছু জমাট বেঁধে বা প্লাক জমে সঙ্কুচিত হয়ে গেলে সেই ধমনীকে প্রসারিত করতে সেই জায়গায় স্টেন্ট বসানো হয়। একবার স্টেন্ট বসানো হলে সেটা আর সরানো হয় না। তা আজীবন ধমনীকে প্রসারিত করে রাখে।
এখন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের শরীরে বাকি স্টেন্ট দুটি কি একসঙ্গেই বসানো উচিত ছিল? না, আরও ভাল করে পরীক্ষা করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তা নিয়ে মত পার্থক্য রয়েছে চিকিত্সকের মধ্যে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বিনায়ক দেব জানান, ‘চিকিত্সকরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি ২০২০ সালে দাড়িয়ে শুধুমাত্র একটা অ্যাঞ্জিওগ্রামের ভিত্তিতে ৩টে স্টেন্ট কেন বসাবে হবে? যেটার জন্য অ্যাটাক হয়েছে, তারজন্য স্টেন্ট বসানো হয়েছে। রোগী ভাল আছে। এখনই কেন ২টো বসাব? ‘
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সৌমিত্র রায়ের মত, স্টেন্ট বসাতে হবেই। তবে অনেকে এক সিটিংয়ে সবকটি স্টেন্ট বসিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী। অনেকে স্টেজ প্রসিডিয়রে বিশ্বাসী। প্রথমে যেটার জন্য অ্যাটাক হয়েছে, সেটায় বসানো হয়ে থাকে। যা করা হয়েছে, ঠিকই হয়েছে।
আপাতত বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের নিয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের চিকিত্সা চলছে। ওষুধ ও পথ্যের উপর আছেন তিনি।