এক বছর আগে আমপান ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল বাংলা। উপকূলবর্তী জেলাগুলো বাদেও শহর কলকাতাতেও ঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। একবছর আগের সেই বিধ্বংসী ঝড় থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগের থেকেও অনেক সতর্ক রাজ্য সরকার। তবে সতর্ক থাকতে হবে সাধারণ মানুষদেরও। একদিকে রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্ত, আরেকদিকে ঘূর্ণিঝড় YAAS গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই দুর্যোগে কোনোরকম গুজবে কান না দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে সরকার।
সরকারের তরফ থেকে যেমন গুজবে কান না দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে, তেমনই গুজন না ছড়ানোরও আবেদন করা হয়েছে। রেডিও, টিভি এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত আবহাওয়ার খবরে নজর রাখতে বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।
ইয়াস আসার আগে থেকেই বিপর্যয় মোকাবিলায় নেমেছে বিদ্যুৎ দফতরও। এদিক ওদিক ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তার ঠিক করা হয়েছে দু’দিন আগে থেকেই। বিদ্যুতের খুঁটিগুলোও পরীক্ষা করেছে দফতরের কর্মীরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলে হয়েছে যে, ঝড়-বৃষ্টির জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হতে পারে, সেই কারণে আগে থেকেও মোবাইল এবং পাওয়ার ব্যাঙ্ক চার্জ করে রাখতে বলা হয়েছে।
প্রশাসনের তরফ থেকে রাস্তায় বৈদ্যুতিক খুঁটি, রাস্তায় পড়ে থাকা ছেঁড়া তার নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে ওষুধ, প্রয়োজনীয় সামগ্রী, জল এবং খাবার মজুত রাখতে বলা হয়েছে।
বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেটে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য তৈরি আশ্রয়স্থল এবং পাকা বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ জারি করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ নথি নিরাপদে সরিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য চালু করা দুটি হেল্পলাইন নাম্বারও জারি করা হয়েছে। নাম্বার দুটি হল ৮৯০০৭৯৩৫০৪ এবং ৮৯০০৭৯৩৫০৩। আগামীকাল ২৫ মে থেকে এই নাম্বার দুটি চালু হবে।
আগামীকাল থেকে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য তৈরি করা কন্ট্রোল রুমে থাকবেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস এবং বিদ্যুৎ দফতরের পদাধিকাররা। হেল্পলাইন নাম্বারে কোনও অভিযোগ এলে তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।