অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত ‘তকতে’, গুজরাত উপকূলে মঙ্গলবার আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা

প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ‘তকতে’ এগিয়ে এল স্থলভাগের আরও কাছে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুসারে শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ এই ঝড়টি ছিল গোয়া থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার, মুম্বই থেকে ৪৯০ কিলোমিটার ও গুজরাত উপকূল থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে। মঙ্গলবার সকালে তকতে গুজরাতের উপকূল, পোরবন্দর ও ভাবনগর জেলার মহুভা এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। ঝড়ের শক্তি অনুমান করার জন্য আগামী ১২ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।

শনিবার এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সেই বৈঠকে নির্দেশ দেন যেন এই ঝড়ের কারণে করোনা চিকিৎসায় কোনও সমস্যা না দেখা যায়। হাসপাতালগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বাকি সব পরিষেবা যাতে দেওয়া হয়, সে কথা বলেন তিনি। ঝড়ের সময় দলের কর্মীদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়ে টুইট করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীও।

রবিবার সকাল থেকেই মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্নাটক ও গুজরাত, অর্থাৎ ভারতের পশ্চিম উপকূল জুড়েই ঝড়ের আগাম প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। উত্তাল হয়েছে সমুদ্র। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ, দিউ-এর উপকূলবর্তী অংশে বিপুল বৃষ্টি চলবে। শুধু তাই নয় কেরল, তামিলনাড়ু উপকূলেও সমুদ্রের বিশাল ঢেউ জানান দিচ্ছে ঝড়ের ভয়াবহতা।

কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার জানিয়েছেন, তকতে কর্নাটকের উপকূলে আংশিক ভাবে আঘাত হেনেছে। মোকাবিলা করতে ঘটনাস্থলে রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ১ হাজার মানুষ ২৪ ঘণ্টা জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছে। কর্নাটকের তিনটি উপকূলবর্তী জেলায় দলগুলি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ও দিকে বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফ থেকে বলা হয়েছে, ৫০০ করোনা আক্রান্তকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন। ঝড়ের জন্য বন্ধ হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.