কাটমানি ঝড় এখন গোটা রাজ্য জুড়ে৷ সেই সঙ্গে এই কাটমানি বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শাসক দলের৷ ফের কাটমানি ফেরতের দাবিতে তৃণমূল নেতার বাড়ি বিক্ষোভ স্থানীয়দের৷ কাটমানি ফেরতের দাবিতে শাসক দলের নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভের রেশ এবার ছড়িয়ে পড়ল বাঁকুড়ার জঙ্গরমহলেও। শুক্রবার রাতে রাইপুরের ঢেকো গ্রাম পঞ্চায়েতের খয়েরবনি গ্রামের ডাকসাইটে তৃণমূল নেতা রাম গোপাল মণ্ডলের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা।
নানান সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তাদের কাছ থেকে জোর করে আদায় করা কাটমানি ফেরতের দাবিতে সরব হলেন তারা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছায় বক্সী ফাঁড়ির পুলিশ। বিক্ষোভরত গ্রামবাসী পশুপতি রুই দাস, দীপেন রুইদাসদের অভিযোগ, এই গ্রামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ২৬ টি পরিবার বাড়ি তৈরির জন্য অনুদান পেয়েছিলেন। প্রত্যেকটি পরিবারের কাছ থেকেই পাঁচ থেকে কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত কাটমানি আদায় করেছেন ওই তৃণমূল নেতা।
ঘটনার দিন টাকা চাইতে গেলে তৃণমূল নেতা রামগোপাল মণ্ডলের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে গ্রামের মানুষের ঝামেলা হয় বলে জানা গিয়েছে। অবশেষে পুলিশের উপস্থিতিতে শনিবার বিকেলে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, গ্রামবাসীদের নিয়ে বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হবে বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রাম গোপাল মণ্ডলের বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাই তার প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল এই কাটমানি ফেরতের দাবিতে বাঁকুড়া-২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্য, তৃণমূল নেতা অরুণ গরাইয়ের কেশিয়াকোল গ্রামের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখান অসংখ্য মানুষ। তিনি বাড়ি থেকে বেরোলে তাকে ঘিরেও বিক্ষোভে ফেটে পড়েন কাটমানি দিতে বাধ্য মানুষজন৷
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি, নির্মল বাংলা প্রকল্পের শৌচাগার তৈরির একটা অংশ তৃণমূলের নেতাদের হাতে তুলে দিতে হয়েছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন যুক্ত থাকলেও তৃণমূল নেতা অরুণ গরাই তাদের কাছ থেকেই টাকা নিয়েছে। পরে সেই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করেছেন বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের। মুখের কথায় কাজ না হলে অনেক সময় হুমকি দিয়েও টাকা আদায় করা হয়েছে বলে এদিন অনেকে দাবি করেন।