কাটা হাত, দগদগে রক্ত, অর্ধদগ্ধ শরীর, ধর্ষিতা নারী বিচারের অপেক্ষায়! গঙ্গারামপুরের পৈশাচিক ঘটনায় স্তব্ধ সমাজ!

হায়দ্রাবাদে তরুণী ধর্ষণের ঘটনা এখনো হয়তো বহু মানুষের মনে দাবানলের মতো জ্বলছে। কারণ সেই দিনটি ছিল এমন একটি কালো দিন যেদিন একটি মেয়ের সমস্ত শরীরের প্রতিটি অঙ্গ জালা যন্ত্রনায় দগ্ধ হয়েছিল সমাজের কিছু নরপিশাচের কাম উদ্দীপনার রাক্ষস পনার কাছে। হয়তো তেমনি ঘটনার সাক্ষী থাকল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের এক তরুণী।

কুমারগঞ্জ থানার সাফানগর ও অশোকগ্রামের মাঝে একটি মাঠে অর্ধ্ব দ্বগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতা মেয়েটির নাম প্রমিলা বর্মন। বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পঞ্চগ্রাম এলাকায়।

প্রাথমিকভাবে অনুমান ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারা হয় প্রমীলা বর্মনকে।কৃষিকাজ করতে গিয়ে কয়েকজন কৃষক মৃতদেহটি দেখতে পান। তারপর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের মনে জেগে উঠতে থাকে নানা প্রশ্ন কিন্তু সব প্রশ্নের উত্তর হয়ত সেই স্থানের রক্তমাখা দাগগুলো দিতে পারেনি।

কালভার্টের নীচে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা চিহ্ন ও একটি হাত কাটা অবস্থায় দেহটি দেখতে পায়। এই মর্মান্তিক ঘটনাটির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ড. সুকান্ত মজুমদার মহাশয়। তিনি ঘটনার সমস্ত ইতিবৃত্ত শোনার পর আর বিন্দুমাত্র অপেক্ষা করেননি। পরবর্তীকালে থানায় গিয়ে দোষীদের চরমতম শাস্তির দাবি জানায় বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ড.সুকান্ত মজুমদার মহাশয়। এরকম মর্মান্তিক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।

কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে ধর্ষণের প্রতিবাদ স্বরূপ একদিন দিল্লি রাস্তা রাজধানীর রাজপথ স্তব্ধ হয়ে গেছিল। মোমবাতি মিছিল বুদ্ধিজীবীদের অহরহ আনাগোনা সমস্ত কিছুতে আঁতকে উঠেছিল দেশ। কিন্তু আটকাতে কি পারছে এমন নির্মম পৈশাচিক ঘটনাবলীকে? কবে শেষ হবে এমন ইতিহাস যা একমাত্র বলবে এই সমাজ?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.