এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে ডেকে এনে মারধর ও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ যুব তৃণমূল নেতার ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে।বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায়। ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের বিরুদ্ধে দলের তরফে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে নদিয়া জেলা পরিষদের সভাপতি রিক্তা কুন্ডু ও বিধায়ক শঙ্কর সিংহকে ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের। এই ঘটনার জেরে শুক্রবার ফুলিয়ায় তৃণমূল প্রার্থীর প্রচার কর্মসূচিও বাতিল হয়েছে।
সূত্রের খবর, ফুলিয়ার যুবগোষ্ঠীর মোড়ের রাস্তা দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচল করে। তার জেরে রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল।লোকসভা ভোটের আগে ফুলিয়া টাউনশিপের অঞ্চল সভাপতি রঞ্জন বসু এবং টাউনশিপের পরিষদীয় দলনেতা বুদ্ধিস্বর গোলদার রাস্তাটি মেরামত করার পর ভারী যানচলাচল আটকাতে বৃহস্পতিবার আনুমানিক সন্ধ্যে ৭.৩০ সময় একটা পিলার পুঁততে যান। অভিযোগ, সেইসময় শান্তিপুর ব্লকের যুব সভাপতি শুভঙ্কর মুখার্জি ওরফে পিটার তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি রঞ্জন বসু ও ফুলিয়া টাউনশিপ পঞ্চায়েতের সদস্য বুদ্ধিস্বর মল্লিককে ফোন করে ডেকে তাদের ওপর চড়াও হয়। অভিযোগ, পিটার এবং তার সশস্ত্র বাহিনী তাদেরকে ঘিরে ফেলে এবং অঞ্চল সভাপতি রঞ্জন বসুর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এমনকি ওই দুই তৃণমূল নেতাকে হেনস্থার পাশাপাশি মারধর ও খুনের হুমকিও দেয় পিটার নামের ওই তৃণমূল যুব নেতা। অভিযোগ, এর আগেও একাধিক বার এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে পিটার নামের ওই তৃণমূল নেতা।
অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দল বিরোধী কাজ করলেও তৃণমূল দলের তরফে পিটারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।শুক্রবার সকালে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু ও রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের বিধায়ক শঙ্কর সিংহ। এলাকায় পৌঁছলে উত্তেজিত তৃণমূলকর্মীরা শুভঙ্কর ওরফে পিটারের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁদের একটা ঘরে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এরপর জেলাসভাপতি রিক্তা কুণ্ডু ৭ দিনের মধ্যে শুভঙ্করের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়।