সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় , কলকাতা : নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা না মেনে শিশুদের নির্বাচনী প্রচারে সামিল করার অভিযোগ উঠল এবার সিপিএমের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি একই কাণ্ড ঘটিয়ে বিজেপির ইলেকশন কমিশনের কু-নজরে পড়েছিল। এবার সেই একই কাজ করে বসলেন উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী কনীনিকা বোস ঘোষ।
১২মে কলকাতা এই কেন্দ্রের বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিএম প্রার্থী কনীনিকা বোস ঘোষের সমর্থনে চিড়িয়া মোড় থেকে এন্টালি পর্যন্ত একটি বিশাল পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। সেই মিছিলে একটি ১৪ বছরের কম বয়সের একটি ছেলেকে সিপিএমের ঝান্ডা হাতে হাঁটতে দেখা যায়। মিছিলের সামনের লাইনেই ছিল ছেলেটি। এই ছবি বামফ্রন্টের একটি ফেসবুক পেজ পোস্ট করে।
এতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এভাবে কি এত কম বয়সী কোনও শিশুকে কোনও নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করা যায়? ইলেকশন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৪ বছরের কম কোনও নাবালক বা বালিকাকে নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যায় না। এই প্রসঙ্গে উত্তর কলকাতার বাম প্রার্থীর উত্তর বেশ অবাক করা। কনীনিকা বোস ঘোষ বলেন , “ওই ছেলেটি আমাদের থেকে পতাকা চেয়েছিল। আমরা দিয়েছি। এতে কি হয়েছে?” kolkata24z7-এর পক্ষে যখন তাঁকে বলা বিজেপির একই কাণ্ডের জেরে সমস্যায় পড়ার ঘটনা তারপরেও তিনি তাদের দলীয় ভুল মেনে নিতে নারাজ ছিলেন।
ছবিটি ফেসবুকে দিয়েছেন কনীনিকা বোস ঘোষ নিজে এবং তাঁদের ‘ভোট ফর লেফট’ নামক ফেসবুক পেজটিও। বামফ্রন্টের নির্বাচনী সমর্থনে ওই ফেসবুক পেজ নাবালকের ছবি পোস্ট করে লিখেছে আজকের মিছিলে আগামী প্রজন্ম। এই দুই প্রশ্ন বাম প্রার্থীর কাছে রাখা হলে তিনি বলেন , “যদি ফেসবুকে এই ছবি দেওয়ার কথা বলেন তাহলে বলব আমরা ওই ছবি সরিয়ে নেব।” উত্তর মেলেনি মিছিলে নাবালককে হাঁটিয়ে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের বিষয়ে।
বিজেপি-র বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ লেখা প্ল্যাকার্ড-সহ একদল শিশুর ভিডিও ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে প্রচার করা হচ্ছে। এমনকি, ওই ভিডিওতে সামরিক বাহিনীর পোশাকও ভোট প্রচারের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সিইও আরিজ আফতাবের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।