Animitra Chakrabarty
শ্রী স্বর্ণেন্দু দত্ত মহাশয় গণশক্তি (প্র্রথমযুগে সিপিআইএম-এর মুখপত্র; এখন দৈনিক সংবাদপত্র) তে একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখেছেন – বিষয় – আগ্রাসী হিন্দুত্বের নতুন নায়কের খোঁজে। কয়েকজন শুভানুধ্যায়ীর সৌজন্যে এটির খোঁজ পেলাম এবং আগ্রহের বিষয় হওয়ায় এক নিঃশ্বাসে পড়েও ফেললাম। এবং এই সিদ্ধান্তে পুনরায় উপনীত হলাম – কম্যুনিস্টদের হিন্দু বিদ্বেষ প্রোথিত আছে তাঁদের চেতনায়,পুরুষানুক্রমে প্র্রাপ্ত এক অধিকার। ইসলামিক মৌলবাদের পদলেহন ও হিন্দুর সর্বনাশের আয়োজনে তার উৎসাহ ও দক্ষতা সর্বাধিক। অবশ্য, শ্রী দত্তের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যক্তিগত বিদ্বেষ আমার নেই। বৈরিতা আছে তাঁর বিচারাধারার সাথে।
অনেক কিছুই লেখা হয়েছে এই প্রবন্ধে – সংক্ষিপ্তভাবে, হিন্দুর বাপান্ত করা হয়েছে এবং আত্মরক্ষার্থে শস্ত্র ধরে হিন্দু যে ডাইরেক্ট একশন ডে-র দিন, ১৬ই আগস্ট ১৯৪৬, ও তার পরের দিনগুলোয় যে মহা অপরাধ করা হয়েছে তার এক বিস্তৃত বর্ণনা করা হয়েছে। এবং সমগ্র হিন্দু জাতিকেই হিন্দুত্ববাদী সাব্যস্ত করা হয়েছে। কিন্তু কেন হল এটি তা ততই সংযতভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। সমগ্র জাতিকেই হিন্দুত্ববাদী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ গুজরাট – ২০০২ নিয়ে কথা বলা যাবে কিন্তু গোধরা নৈব নৈব চ।
অতি স্বাভাবিকভাবেই গোপাল পাঁঠার বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয়েছে,গঙ্গাধর অধিকারীর তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। ইনি অবশ্যই সেই গঙ্গাধর অধিকারী যিনি একদা লিখেছিলেন, ” Wherever people of Muslim faith living together in a territorial unit form a nationality…. they certainly have the right to autonomous state existence. ” Actually the demand for Pakistan to the Communists , agreed with the demand of other nationalities for the right to self-determination….কিন্তু এখানে একটিবারের জন্যেও ২৭শে মে,, ১৯৪১-র শ্রদ্ধানন্দ পার্কে এআইএসএফ ও মুসলিম লীগ স্টুডেন্ডটস ফেডারেশন দ্বারা একযোগে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক মিটিংটির কথা শোনা গেল না আলোচ্য প্রবদ্ধে।
সভায় এআইএসএফ-র পক্ষে নিখিল মৈত্র বলেছিলেন – ‘ We should not condemn our Muslim Friends for their proposal for Pakistan. If we consider calmly and soberly we shall understand that every nation has got its own right to culture, his own religion, education etc . So, if we agree to the proposal for creating Pakistan, we would also get similar privileges from our Moslem brethren. After all Hindu and Moslem are two different races.’ জনাব জাফর আলী মজুমদার (সম্পাদক, উত্তর কলকাতা – এআইএসএফ) বলেছিলেন, ” …….if the Congress or the Hindu Mahasabha do not stand against the Muslim League’s demand for Pakistan , there would be no communal tension. “
এইবার সেইদিন অর্থাৎ আগস্ট ১৬, ১৯৪৬-এর প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপ করা যাক। Direst Action Day এর দিন কমিউনিস্ট রা একসঙ্গে মুসলিম লীগের সঙ্গে মিছিল করে এসেছিলো ।
Amrita Bazar Patrika র report অনুযায়ী – ‘ On 16th August in Calcutta , the supporters of the two parties —the CPI and the Muslim League –congregated at the foot of the Monument on the Maidan. After offering The Jumma Prayers, Muslim started moving towards the Maidan. The inspector in patrol on Russa Road ( এখনকার দেশপ্রিয় শাসমল রোড ) saw at about 13:30 hours , a Muslim League marchers ( about 125 persons) were crossing Russa Road from the South towards the North. The marchers carried green and red paper flags ( CPI Flag) mounted on bamboo sticks and iron rods. ‘
The Statesman-র report আরও বিশ্লেষণাত্মক। নিরপেক্ষতা, ঝাঁঝালো বক্তব্যের জন্য বিখ্যাত এই ইংরেজী দৈনিকের মতে, কম্যুনিস্ট আর মুসলিম লীগের কর্মীরা জেলা জেলা থেকে যৌথ ভাবে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এসেছিলো ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে এর দিন।
‘The Bengal Communist Party, under the directive of the Head Quarters , had embarked upon a joint participation with the league on 16th August, and it was not restricted only to Calcutta. At the districts too, both Parties jointly celebrated the Direct Action Day …” The Bengal Communist Party, under the directive of the Head Quarters , had embarked upon a joint participation with the league on 16th August, and it was not restricted only to Calcutta. At the districts too, both Parties jointly celebrated the Direct Action Day …’
পরিশেষে, যে গোপাল পাঁঠার বিরুদ্ধে বিতৃষ্ণা ঝরে পড়ছে প্রবন্ধ জুড়ে সে সম্পৰ্কে একটি বক্তব্য। সম্মুখ সমরের সেই দিনে ইসলামিক তান্ডবের সক্রিয়,সহিংস প্রতিরোধে সর্বপ্রথম পথে নেমেছিলেন বিখ্যাত কংগ্রেস নেতা শ্রী বিজয় সিং নাহার ও বিখ্যাত বিপ্লবী তথা মল্লযোদ্ধা শ্রী বিপিন বিহারী গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গীদের নিয়ে, যাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ঐতিহাসিক রডা আর্মস লুন্ঠনের অন্যতম নায়ক, প্রখ্যাত বিপ্পবী শ্রী অনুকূল চন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ভ্রাতুষ্পুত্র শ্রী গোপাল মুখোপাধ্যায় ওরফে গোপাল পাঁঠা।